এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মোদীর বিরুদ্ধে কমিশনে যেতেই সপাটে চড় খেলো তৃণমূল! “মূর্খের দল” বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর!

মোদীর বিরুদ্ধে কমিশনে যেতেই সপাটে চড় খেলো তৃণমূল! “মূর্খের দল” বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রেশনের চাল চুরি করার দায়ে যখন গ্রেপ্তার হচ্ছেন তৃণমূল সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা, ঠিক তখনই দেশবাসীকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে অন্য রাজ্যে ভোটের সময় কেন এই ঘোষণা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কমিশনে গিয়েছে তৃণমূল। তবে মোদীর এই ঘোষণা নিয়ে কেন তৃণমূলের এই আপত্তি, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকেই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে এমন ভাবে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, যাতে তৃণমূলও এখন ঢোক গিলতে শুরু করেছে। তাদের অনেকেই ভাবছেন যে, কেনই বা তারা নির্বাচন কমিশনে গেলেন! তবে এই গোটা বিষয় নিয়ে আখেরে শুভেন্দু অধিকারী যা বললেন, তাতে তৃণমূলের ভাবমূর্তি এই বিষয়ে আবারও একবার প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। অনেকেই দাবি করছেন, তৃণমূলের এই আপত্তির পেছনে তাদের জন বিরোধী সিদ্ধান্ত শুধু বাংলা নয়, দেশের মানুষের কাছে প্রতিষ্ঠিত হলো। কিন্তু কি বলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

প্রসঙ্গত, এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে মোদীর এই ঘোষণা নিয়ে তৃণমূলের নির্বাচন কমিশনে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তৃণমূলকে ধুয়ে দেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বেল পাকলে কাকের কি? 2021 এর পরে সর্বভারতীয় দলের তকমা নিয়ে অনেক লাফালাফি করেছিল। কিন্তু গোয়াতে গিয়ে জামানত জব্দ হয়েছে। ত্রিপুরাতে নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছে। এদের লজ্জা থাকা উচিত। মূর্খের দল। কিছুই জানে না।” একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী একেবারে এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তৃণমূলকে ধুয়ে দিয়েছেন। একটা আঞ্চলিক দল, যারা অন্য রাজ্যে গিয়েও নোটার থেকে কম ভোট পায়, তারা প্রধানমন্ত্রীর এত বড় জনহিতকর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলে কি করে? তাও তাদের প্রশ্নের যুক্তি থাকত, যদি তারা গঠনমূলক প্রশ্ন করত। কিন্তু মানুষের স্বার্থ যেখানে জড়িত, যেখানে মানুষ সুবিধে পাবে, আর তার জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করছেন, সেখানে তৃণমূলের এই আপত্তি কি সাজে? এই তারা মানুষের জন্য নিবেদিত দল বলে দাবি করে! আসলে চুরি ছাড়া তৃণমূলের চরিত্রের মধ্যে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই বলেই দাবি করছেন সমালোচকরা।

বিজেপির দাবি, দেশের আইন সংবিধান বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে কোনোমতেই অবগত নয় তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির বিরোধিতা করতে হবে, এটাই তাদের প্রধান ইস্যু। তাই দেশের মানুষের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী এত বড় ঘোষণা করলেও, তা নিয়ে তারা চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছে আসলে তারা তো মানুষের কাজ করতে পারবে না। মানুষের টাকা চুরি করে তারা নিজেদের সম্পত্তি বৃদ্ধি করবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা নিয়ে তাদের এখন গায়ে জ্বালা শুরু হয়েছে। তবে এসব করে তৃণমূল মানুষের থেকে আরও দূরে সরে যাচ্ছে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলকে মূর্খের দল বলে একেবারে সঠিক ব্যাখ্যাই দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মানুষের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী এত বড় পদক্ষেপ ঘোষণা করলেন, তাকে স্বাগত জানানো উচিত ছিল তৃণমূলের। কিন্তু তা না করে বিরোধিতা করে তারা নির্বাচন কমিশনে গেলেন। আসলে মানুষের স্বার্থে হিতকর কোনো পদক্ষেপ নিলেই তৃণমূলের তা বিরুদ্ধে চলে যায়। কারণ তারা তো মানুষের জন্য কিছু করবে না। চুরি করা ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ নেই। আর সেই কারণেই আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় নেতারা এখন বড় বড় কথা বলছেন। যারা নিয়ম-নীতি, সংবিধান, বিচার ব্যবস্থাকে মান্যতা দেয় না, তারা প্রধানমন্ত্রীর এই উদার ঘোষণাকে নিয়ে কথা বলার মত ক্ষমতা কি করে দেখান? শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!