এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মহারানীর জন্য আরামবাগে এলাহি আয়োজন, ছবি দেখিয়ে বোমা ফাটালেন শুভেন্দু!

মহারানীর জন্য আরামবাগে এলাহি আয়োজন, ছবি দেখিয়ে বোমা ফাটালেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গোটা সন্দেশখালি যখন উত্তপ্ত, যখন সেখানকার মহিলারা রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েছেন, হাহাকার করছেন, তখন সেই নিয়ে একবারের জন্যেও মুখ খুলতে দেখা যাচ্ছে না এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। উল্টে তিনি আজ আরামবাগে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সবাই নাকি গ্রেফতার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু একজন মহিলা হওয়ার পরেও কি করে এত মা বোনেদের আর্তনাদ শোনার মত ক্ষমতা রাখছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী! সেই প্রশ্ন ক্রমাগত উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। কিন্তু সেই সব কিছুতে কান না দিয়ে বিরোধী দল যখন সন্দেশখালিতে পৌঁছতে উদ্যোগী, তখন তাদের পুলিশ দিয়ে বাধা দেওয়া হলো।

আর আরামবাগে প্রশাসনিক সভাতে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখছেন, তখন তার জন্য কি কি এলাহি আয়োজন করা হয়েছে! কত টাকা খরচ করা হয়েছে, তার বড় পর্দা ফাঁস করলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, বিজেপি বিধায়করা বাসের ছেঁড়া সিটে বসে যাচ্ছে। কিন্তু এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে মহারানী ভাবেন। আর সেই কারণেই তিনি যখন আরামবাগে সভা করতে যাচ্ছেন, তখন 40 মিনিটের জন্য তার যাতে কোনো খামতি না থাকে, তিনি যাতে মহারানীর মত থাকতে পারেন, সেই কারণে একটা বড় মাপের এলাহী আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু কি সেই আয়োজন?

প্রসঙ্গত, এদিন সন্দেশখালিতে বিজেপি বিধায়করা যাওয়ার পথেই তাদের বাস আটকে দেওয়া হয়। আর তারপরেই বাসে দীর্ঘক্ষণ বসে থেকেই প্রতিবাদ জানান শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা। আর সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে আরামবাগে তার প্রশাসনিক সভায় কি পরিমাণ এলাহি আয়োজন করা হয়েছে, তার ছবি প্রকাশ্যে আনেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মোবাইলের একটি ছবি দেখিয়ে তিনি জানান যে, 40 মিনিটের জন্য শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যাবেন, সভা করবেন জন্যে সেখানে একটি ওয়াশরুম তৈরি করা হয়েছে। আর মোবাইলে তোলা সেই ছবিতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে, একেবারে যেন ভিভিআইপি ওয়াশ রুম।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো বলেন, সরকারের নাকি কোষাগারে টাকা নেই, তাহলে এই সমস্ত প্রস্তুতি কিভাবে হচ্ছে? আর যদি তিনি এসবের জন্য টাকা দিয়ে থাকেন ব্যক্তিগতভাবে, তাহলেও তো একটা প্রশ্ন ওঠে যে, তিনি নাকি সাধারণ মানুষের মতো থাকেন! তিনি নাকি গরিবের প্রতিনিধি! বিভিন্ন সভায় তো এই মুখ্যমন্ত্রীই বলে থাকেন যে, তার ঘরে ছাড়া এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া আর কিছু নেই! তাহলে এত এলাহী আয়োজন করে তিনি কি নিজেকে মানুষের থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন না? সেই প্রশ্নও কিন্তু উঠতে শুরু করেছে।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, সব সময় লোক দেখানো নাটক করেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজেকে গরীবের প্রতিনিধি বলেন। কিন্তু তাই যদি হত, তাহলে তো তার আমলে এত পরিমাণ চুরি, দুর্নীতি হত না। সাধারণ মানুষ কাঁদছেন, মা-বোনেরা কাঁদছেন। আর তিনি প্রশাসনিক সভা করে বেড়াচ্ছেন। একবারের জন্যেও তিনি সন্দেশখালি যেতে পারছেন না! তবে মানুষ তার এই রাজকীয় আচরণের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে। আগামী দিনে এর ফল পেতে হবে ফ্যাসিস্ট শাসক এবং তাদের মুখ্যমন্ত্রীকে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!