এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > যত দোষ নন্দ ঘোষ! দুর্নীতি করলেও কিছু বলা যাবে না? মমতার বক্তব্যে কটাক্ষ বিরোধীদের!

যত দোষ নন্দ ঘোষ! দুর্নীতি করলেও কিছু বলা যাবে না? মমতার বক্তব্যে কটাক্ষ বিরোধীদের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  ভাষণ দেওয়া ছাড়া, আর বড় বড় কথা বলা ছাড়া এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর কোনো কাজ নেই। সামান্য সন্দেশখালিতে তিনি যেতে পারেন না, সেইখানে তিনি আজকে আবার একটি অনুষ্ঠানে এত বড় বড় কথা বলেছেন! যা শুনে রীতিমতো বিরক্ত বিরোধীরা, বিরক্ত এই রাজ্যের সাধারণ মানুষও। এই রাজ্য সরকারের আমলে কি পরিমান চাকরি হয়েছে, আর যদিও বা চাকরি হয়েছে, তা কতটা টাকার বিনিময় হয়েছে, তা তো ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তা না হলে আজকে শিক্ষা দপ্তরের একাধিক কর্তা, ব্যক্তি থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা জেলের মধ্যে থাকতেন না। রেশন দুর্নীতিতে জেলের মধ্যে থাকতেন না এই রাজ্যের আর এক মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু এতসবের পরেও লজ্জা, ঘৃণা সব কিছুকে ত্যাগ করে এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের বড় বড় ভাষণ নিয়েই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। আজকে একটি অনুষ্ঠানে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, তারপর বিরোধীরা বলছে, সব ব্যাপারে দোষারোপ করাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ। নিজে তো চাকরি দিতে পারবেন না। তাই যদি অন্যদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজের বাঁচা যায়, সেই চেষ্টাই তিনি আবারও করলেন বলেই দাবি একাংশের।

প্রসঙ্গত, এদিন একটি অনুষ্ঠান থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, তার সরকারের নাকি 5 লক্ষ চাকরি দেওয়ার মত ক্ষমতা আছে। সব কিছু রেডি। কিন্তু বিরোধীরা অর্থাৎ বাম কংগ্রেস এবং বিজেপি বারবার কোর্টে গিয়ে সেটাকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আর এখানেই একাংশ বলছেন, তিনি যদি সত্যের পথে থাকেন, তাহলে কোর্টে গিয়ে বিরোধীরা আটকে দেবেন, তাদের এত ক্ষমতা কোথায়? আর আদালত তো নিরপেক্ষভাবে কাজ করে। তাহলে নিশ্চয়ই এতদিন চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছিল। আর সেই কারণেই আদালত একের পর এক ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আর সেই তদন্তের জন্য চোরেরা ধরা পড়ছে।

তাহলে কি আদালতের নির্দেশকেও এখন চ্যালেঞ্জ করছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান? তার সরকার চুরি করবে, তার নেতারা চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নিজেদের পকেটে ঢোকাবে। আর সেসব দেখেও বিরোধীরা চুপ করে থাকবে, এটা কোন ধরনের নিদান দিচ্ছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? আসলে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন, তার ভোট চাই। বেকার যুবকদের যন্ত্রনা এবং সেই নিয়ে সবার আওয়াজ, এই সরকারকে আরও চাপের মুখে ফেলছে। তাই এখন চাকরি দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও বিরোধীরা আদালতে যাওয়ার কারণেই আটকে যাচ্ছে বলে একটা ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা। কিন্তু এসব বলে নিজেই নিজের জালে জড়িয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, কথায় আছে না, যত দোষ নন্দ ঘোষ! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জায়গায় বিরোধীদের ভূত দেখতে শুরু করেছেন। তার দল তো আর চুরি করতে পারছে না। বিরোধীরা আদালতে গিয়ে এই সরকারের সব চুরি আটকে দিয়েছে। আর সেই কারণেই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অস্থির হয়ে উঠেছেন। তাই আদালতের নির্দেশকেও তিনি চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করেছেন। যদি তার এতই ক্ষমতা থাকে, তাহলে স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া করে দেখান। কিন্তু সেসব না করে আদালতের নির্দেশে হওয়া একের পর এক তদন্তকে কেন প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী? তাহলে আইনের রক্ষক হয়ে তিনি যে ভক্ষকের মতো আচরণ করছেন, তার বেলা? স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কগ্রস্থ হয়েই যে মুখ্যমন্ত্রী এখন চাকরি দিতে না পেরে বিরোধীদের ঘাড়ে দাড়ি চাপানোর চেষ্টা করছেন তা বোঝাই যাচ্ছে। তবে এসব নতুন অভিনয়ের ফাঁদ ফেলে আর রাজ্যবাসীর মন জয় করতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!