এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যকে দুষলেন প্রশান্ত কিশোর, জোর জল্পনা

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যকে দুষলেন প্রশান্ত কিশোর, জোর জল্পনা

করোনা ভাইরাসের দাপট চরম পরিমাণে শুরু হয়েছে‌। যত দিন যাচ্ছে, তত এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। কেন্দ্র হোক বা রাজ্য, প্রতিটি সরকার চেষ্টা করছে, এই করোনা ভাইরাস থেকে দেশ এবং রাজ্যকে রক্ষা করার। আর এমত পরিস্থিতিতে একদিকে গোটা দেশে যখন লকডাউন, ঠিক তখনই ভারতবর্ষের বুকে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, পেটের জ্বালায় রেলপথ ধরে বাড়ি ফিরতে গিয়ে মালগাড়িতে কাটা পড়লেন প্রায় 16 জন পরিযায়ী শ্রমিক। যা নিঃসন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা বলেই আখ্যা দিচ্ছেন সকলে। আর এমত একটা পরিস্থিতিতে এবার তাৎপর্যপূর্ণ টুইট করতে দেখা গেল তৃণমূলের রাজনৈতিক রননীতিকার প্রশান্ত কিশোরকে। যেখানে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের দেহ কাটা পড়া নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করলেন বিশিষ্ট নির্বাচনী রননীতিকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন টুইটে তিনি লেখেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন এবং মৃত্যু উভয় ক্ষেত্রেই নিছক পরিসংখ্যানে হ্রাস পাওয়া। তাদেরকে নিয়ে ভাবছে না কেউই। তারা নিজেদের ভাগ্যের কাছে এবং সমাজের কাছে করুণার পাত্র হয়ে রয়ে গিয়েছেন। কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় ক্ষেত্রেই সরকার তাদের জন্য এখনও কিছু করেননি।” আর পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী রনধীতিকার প্রশান্ত কিশোরের এই ট্যুইট এখন তৃণমূলকেও কিছুটা হলে ভাবাচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

একাংশ বলছেন, প্রশান্ত কিশোর কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নামটিও উল্লেখ করেছেন। এক্ষেত্রে তিনি কোন রাজ্য সরকার কতটা কাজ করছে এবং কতটা তারা শ্রমিক দরদী, তা উল্লেখ না করে সার্বিকভাবে সকলের কথা নিজের টুইটার মধ্যে দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোরের এই বক্তব্য থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও যে বাদ নেই, সেই ব্যাপারে দাবি তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

যদিও তৃণমূলের দাবি প্রশান্ত কিশোর বিজেপির দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন, কেন্দ্রে এবং যে যে জায়গায় বিজেপি সরকার আছে সেখানেই পরিযায়ী শ্রমিকরা সাহায্য পাচ্ছে না একথাই নাকি বলেছেন তাদের ভোটের রণনীতিকার। কিন্তু তবুও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যে, প্রশান্ত কিশোর কোনোভাবেই সেখানে বঙ্গের নাম করেননি।

কেননা ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের কেন ফিরিয়ে আনা হচ্ছে না, তা নিয়ে একাধিক বক্তব্য পেশ করতে দেখা গেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে যখন দিল্লির বুকে এই ধরনের ঘটনা ঘটল এবং তারপরেই প্রশান্ত কিশোর বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিলেন, তাতে এই গোটা ঘটনায় তৃনমূল কতটা অস্বস্তিতে পড়ে, সেই রহস্য উন্মোচনেই ব্যাস্ত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!