এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মমতা ব্যানার্জি একুশের জন্য ঘুঁটি সাজাতেই কি হেভিওয়েট ‘ঘরের ছেলে ঘরে’ ফিরছেন? তীব্র জল্পনা

মমতা ব্যানার্জি একুশের জন্য ঘুঁটি সাজাতেই কি হেভিওয়েট ‘ঘরের ছেলে ঘরে’ ফিরছেন? তীব্র জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে চলে যাওয়া নেতাদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন, “যারা বিজেপিতে গিয়েছেন, তারা পারলে তৃণমূলে ফিরে আসুন।” স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক কোন নেতাকে উদ্দেশ্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা বললেন, তা নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয় বাংলার রাজনৈতিক মহলে।

এদিকে একুশে জুলাইয়ের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, বৃহস্পতিবার তিনি দলের সাংগঠনিক বৈঠক করবেন। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের এমন অনেক নেতা আছেন, যারা গত লোকসভা ভোটের পর দলের এমন কিছু সাংগঠনিক কাজকর্ম ক্ষুব্ধ হয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্র।

বৃহস্পতিবার বিপ্লব মিত্রের ঘোর শত্রু হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয় বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে একসময় তৃণমূলে যোগ দেওয়া গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসকে। স্বাভাবিকভাবেই যে গঙ্গারামপুরে একসময় তৃণমূলের চালিকাশক্তি ছিলেন বিপ্লব মিত্র, সেই গঙ্গারামপুরেই জেলা সভাপতি চলে যাওয়ায় অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন, এবার হয়ত আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে পারেন বিপ্লব মিত্র।

বস্তুত, গত লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে অর্পিতা ঘোষকে প্রার্থী করা নিয়ে দলের সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল তৎকালীন জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিপ্লব বাবুর। অর্পিতা ঘোষকে প্রার্থী করলে কোনোমতেই তাকে জেতানো যাবে না বলে দলনেত্রীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

পরবর্তীকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ভৎসনার শিকার হয়েছিলেন বিপ্লব মিত্র। এদিকে তার কাঁধের উপর ভর করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় জয় আনতে হবে বলে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বিপ্লববাবুকে জানিয়ে দেওয়ার পরেও অর্পিতা ঘোষকে জেতাতে পারেননি তিনি। যার ফলস্বরুপ পর্যালোচনা বৈঠকে সেই বিপ্লব মিত্রকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে অর্পিতা ঘোষের উপর দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপিতে যোগদান বিপ্লব মিত্র। আশা ও আশঙ্কা করা হয়েছিল, এবার হয়ত এককালে দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল শেষ কথা বলা বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে গিয়ে তৃণমূলকে তছনছ করে দেবেন। কিন্তু তেমন ভাবে কিছু করতে পারেননি তিনি। সাম্প্রতিক কালে বিজেপিতেও তেমনভাবে গুরুত্ব পাচ্ছেন না বিপ্লববাবু। যার ফলে তার ফের তৃণমূলে ফিরে আসার জল্পনা তৈরি হয়েছিল।

আর এমতাবস্তায় অর্পিতা ঘোষকে সভাপতি থেকে সরিয়ে দিয়ে গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসকে সভাপতি করায় বিপ্লব মিত্রের আবার দলে ফেরার জল্পনা তীব্র হতে শুরু করল। আর এই ঘটনায় এখন তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে যেমন আশা তৈরি হয়েছে, ঠিক তেমনই থাকছে একগুচ্ছ আশঙ্কা। অনেকে বলছেন, বিপ্লব মিত্র দলে ফিরলে দলের কর্মীরা শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারবেন। আবার অনেকে বলছেন, যদি বিপ্লববাবু দলে ফেরেন, তাহলে তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর যারা তার সম্পর্কে কুকথা বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন এই হেভিওয়েট নেতা।

তাই তাকে দলে নিলে গোষ্ঠী কোন্দল আরও বাড়বে। তবে কি হবে পরিস্থিতি, তা নিয়ে এখন রীতিমত সন্ধিহান জেলার রাজনৈতিক মহল। কিন্তু যদি সত্যি সত্যিই বিপ্লব মিত্র তৃণমূল ফিরে যায়, তাহলে তা যেমন ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে বড় ধাক্কা হবে, ঠিক তেমনই তৃণমূলের কাছে কিছুটা হলেও আশার হবে। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয়, কোন দিকে গোটা পরিস্থিতি, সত্যি সত্যিই বিপ্লব মিত্র বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!