এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মৃত ছাত্রকে নিয়ে উত্তাল উত্তরবঙ্গ, বাদানুবাদ শাসকদলের সাংসদ-বিধায়কে

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মৃত ছাত্রকে নিয়ে উত্তাল উত্তরবঙ্গ, বাদানুবাদ শাসকদলের সাংসদ-বিধায়কে

যত সময় এগোচ্ছে ততোই যেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চেপে বসছে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের অন্দরে। পুজোর সময় সাংসদ বনাম বিধায়কদের গন্ডগোল কিছুটা স্তব্ধ থাকলেও উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের স্বমহিমায় তারা। সূত্রের খবর, দিনহাটা কলেজের নিহত ছাত্র অলোক নিতাই দাসের মৃত্যুতে ফের অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে পথে নামল যুব তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগেই শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দিনহাটা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বছর ১৯ র অলোক নিতাই দাসের। আর এরপরই এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ এবং তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। ছাত্রের মৃত্যুতে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও এখনো অধরা এই খুনে নাম জড়ানো দুই ব্যক্তি। দুর্গাপুজো শুরুর আগেই সেই মূল পাণ্ডাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পথে নামে জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এদিন সেই উৎসবের মরশুম কেটে যেতে না যেতেই ফের এই ইস্যুতে মূল নেতৃত্বের ওপর চাপ সৃষ্টি করে মাঠে নামল দলেরই যুব সংগঠন।

সূত্রের খবর, গত সোমবার তৃণমূল যুবর শহর ব্লক সভাপতি অজয় রায়ের নেতৃত্বে নিহত ছাত্র অলোক নিতাই দাসের মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবিতে একটি মিছিল শহর পরিক্রমা করে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সেই মৃত ছাত্রের পরিবারও। অন্যদিকে দিনহাটায় যখন ছাত্রমৃত্যু নিয়ে মূল নেতৃত্তের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে দলেরই যুব সংগঠন ঠিক তখনই গীতালদহে আবু মিয়াঁ খুনে প্রকৃত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি তুলল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গেছে, এই খুনে নাম জড়িয়েছে এক যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর। আর শাসকদলেরই দুই সংগঠনের একে অপরের বিরুদ্ধে চাপ পাল্টা চাপের কর্মসূচিতে এখন সরগরম জেলার রাজনীতি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো  করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক

দিনহাটার এই মিছিল প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ তথা কোচবিহার জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাতে দিনহাটা এসেছিলাম। মিছিলে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেই নির্দেশ সকলকে দিয়েছি।” অপরদিকে সাংসদকে পাল্টা খোঁচা দিয়ে সিতাই এর তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, “আমরা চাই এই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করুক। কিন্তু অন্য খুনের মামলায় অভিযুক্ত হয়ে যারা গাড়ির কনভয় নিয়ে ঘুরছে তাদেরও যেন গ্রেপ্তার করা হয়।” রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, প্রকাশ্যে নাম না নিলেও পরোক্ষভাবে এই তৃণমূল বিধায়ক যে পার্থপ্রতিম রায় কেই খোঁচা দিলেন তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই। সব মিলিয়ে উৎসবের মরশুম কাটলেও ছাত্রমৃত্যু নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অটুটই রইল কোচবিহার জেলা তৃণমূলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!