এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের বিস্ফোরক ভিডিও, ‘চোর’ অপবাদে শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে

হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের বিস্ফোরক ভিডিও, ‘চোর’ অপবাদে শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও। যা নিয়ে রীতিমত আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতি মহলে। তৃণমূল-কংগ্রেসের এক হেভিওয়েট নেতা ‘চোর’ বলে একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি। বিধায়কের নিশানায় ইসিএল ও সংস্থার আধিকারিকেরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় (সত্যাসত্য যাচাই করেনি প্রিয় বন্ধু মিডিয়া) আধিকারকদের ‘চোর’ বলছেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারিক, এমনই বলতে শোনা গিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে জেলায়।

কিন্তু হঠাৎ কেন এহেন মন্তব্য করতে গেলেন তিনি। তাঁর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিধায়ক। তাঁর দাবি, জামবাদ খোলামুখ খনির প্রায় দেড়শো ফুট দূরে পরিত্যক্ত ১৩টি খনিকর্মী আবাসন সহ সংলগ্ন এলাকার প্রায় ৪২টি পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যাপারে ২০১৯-এ উক্ত সংস্থার সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের বৈঠক হয়। পুনর্বাসন না দেওয়া পর্যন্ত আবাসনের দিক ঘেঁষে কয়লা কাটা হবে না, এই মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল সেদিনের বৈঠকে। কতদূর কয়লা কাটা হবে, তা-ও চিহ্নিত করেন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

কিন্তু সংস্থা সেই সিদ্ধান্ত উল্লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ। আর তাতেই বেজায় চটেছেন বিধায়ক। জিতেন্দ্রবাবু তাঁর মন্তব্য প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “ইসিএল সিদ্ধান্ত না মেনে রাতের অন্ধকারে চুরি করে আবাসনের দিকেই কয়লা কাটতে কাটতে এগিয়ে এসেছে। তাই ওই সংস্থাকে চোর আখ্যা দিয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ঘটনা সামনে আসার পর স্বভাবতই চুপ করে বসে থাকেননি বিরোধীরা। তারাও সুর চড়িয়েছে সুযোগ বুঝে। বিজেপি নেতা সন্তোষ সিংহ-র মতে, “এলাকাবাসীকে পুনর্বাসন দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকার এড়িয়ে যেতে পারে না। তাই সেই ত্রুটি ঢাকতেই জিতেন্দ্রবাবু এখন ভুল বকছেন।”

জিতেন্দ্রবাবুর মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন সংস্থার কর্তারাও। তাদের পাল্টা দাবি, কোম্পানির জমিতেই বাড়ি করে থাকছেন বাসিন্দারা। সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান, জামবাদ খোলামুখ খনির পাশে ইসিএল-এর জায়গায় বাড়ি করে বসবাস করছেন কিছু স্থানীয় বাসিন্দা। সিএল-কর্তাদের আরও দাবি, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে রাজ্য সরকারের সঙ্গে ফের বৈঠক হয় ইসিএল-এর।

ইসিএল কর্তাদের দাবি, ওই বৈঠকে বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দিতে রাজ্য সরকার জমি দিতে চায়। কিন্তু, তার পরেও এলাকাবাসী সেখানে থেকে যান। এমনকি ২০১৩ সালের একটি বৈঠকে জমি ফাঁকা করার জন্য এককালীন ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রস্তবাও উত্থাপিত হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাও সম্ভব হয়নি শেষ পর্যন্ত। নিজেদের জমি না থাকায় কেউই এলাকা থেকে সরতে চাননি বলে অভিযোগ নীলাদ্রিবাবুর। তাঁর দাবি, “বাড়ি বানানো সংস্থার পক্ষে সম্ভব নয়। এর পরে ধস- প্রবণ কর্মী আবাসন ও লাগোয়া এলাকা থেকে ২০১৯-এ ফের সবাইকে চলে যেতে বলা হয়। এলাকাটিকে ‘অসুরক্ষিত’ ঘোষণা করা হয়েছিল। তাতেও কিছু লাভ হয়নি।” যদিও বিধায়কের ‘চোর’ অপবাদ নিয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!