এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একুশে তৃণমূলের সরকার উল্টে গেলে নেতাদের কি হাল হবে ‘ফাঁস’ করে দিলেন বিজেপির লকেট চ্যাটার্জি!

একুশে তৃণমূলের সরকার উল্টে গেলে নেতাদের কি হাল হবে ‘ফাঁস’ করে দিলেন বিজেপির লকেট চ্যাটার্জি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে কি হবে, তা কেউ জানেন না। সমস্ত কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে, ভোট বাক্স খোলার পর। কিন্তু তার আগেই যেভাবে শাসক থেকে বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রীরা হুংকার ছাড়তে শুরু করেছেন, তা নিয়ে নিঃসন্দেহে চিন্তা তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল থেকে বিজেপি বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীরা প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

কিছুদিন আগেই দলের কর্মীসভায় একুশের জেতার পর দুদিক দিয়ে পেটানো হবে বলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। আর মঙ্গলবার সেই তপনবাবুর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

এদিন তিনি বলেন, “একুশে ভোটের পর তৃণমূলের সরকার উল্টে যাবে। তারপর জনগণ ওদের চারদিক থেকে মারবে।” আর তপন দাশগুপ্ত আক্রমণের কথা বলার সাথে সাথেই যেভাবে লকেট চট্টোপাধ্যায় পাল্টা প্রতি আক্রমণের কথা বললেন, তাতে নিঃসন্দেহে এই দুই রাজনৈতিক দলের দুই নেতা নেত্রীর বক্তব্য নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, ক্ষমতায় আসার আগেই যদি নেতা-মন্ত্রীরা এই রকম বক্তব্য দিতে শুরু করেন, তাহলে ক্ষমতায় আসার পর তারা কি করবেন, তা বোঝাই যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত‌। তিনি বলেন, “করোনার সময় আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 192 দিন ধরে রাস্তায় রয়েছেন। আমিও আমার বিধানসভায় রাস্তায় রয়েছি। কিন্তু লকেট সুন্দরী কোথায়!” আর লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে তপন দাশগুপ্ত এই মন্তব্য করার সাথে সাথে এদিন তাকে পাল্টা কটাক্ষ করেন হুগলির বিজেপি সাংসদ।

তিনি বলেন, “তৃণমূলের নেতারা যে মহিলাদের সম্মান দিতে পারেন না, একথা গোটা দুনিয়া জানে। গোটা হুগলি জেলা জুড়ে তৃণমূলের মধ্যে দাবানল লেগে আছে। তাই নিজেরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। আর রোজ কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। মস্তান, তোলাবাজদের স্থান যে তৃণমূলে, তা আরও একবার তপন দাশগুপ্তের মন্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গেল।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেতা-মন্ত্রীদের উচিত শালীনতা বজায় রেখে কথা বলা। ভোটে কারা জয়লাভ করবে, তা আগে থেকে বলা যায় না। কিন্তু যেভাবে ভোটের কয়েক মাস বাকি থাকতে না থাকতেই শাসক থেকে বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীরা একে অপরকে উদ্দেশ্য করে হুঁশিয়ারি মূলক মন্তব্য করছেন, তাতে নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্য বাড়তে শুরু করেছে।

এবার তৃনমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তের মন্তব্যের পর যেভাবে লকেট চট্টোপাধ্যায় 2021 এ ক্ষমতায় এলে তৃণমূলকে চারদিক থেকে মারা হবে বলে মন্তব্য করলেন, তাতে বিজেপি নেত্রীর এই মন্তব্যে এখন রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, এইভাবে চলতে থাকলে রাজনীতিতে শালীনতা যেমন ধুলিস্যাৎ হবে, ঠিক তেমনই রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের শিষ্টাচার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে‌। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!