এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া মোটের উপর বাংলার চতুর্থ দফার ভোট শান্তিপূর্ণ

বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া মোটের উপর বাংলার চতুর্থ দফার ভোট শান্তিপূর্ণ


প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় দফার পর গতকাল রাজ্যের চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে এরাজ্যের আটটি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। মূলত চতুর্থ দফার ভোটকে ঘিরে এদিন টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। কেননা এই চতুর্থ দফার ভোটে বীরভূম, আসানসোলের মত কেন্দ্রগুলিতে নির্বাচন ছিল। কিন্তু কিছু বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে এই চতুর্থ দফায় বলে দিনের শেষে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।

সূত্রের খবর, এদিন এই বিক্ষিপ্ত অশান্তি ঘটনায় 145 জনকে গ্রেপ্তার এবং ছটি এফআইআর হয়েছে। মূলত এই চতুর্থ দফায় বীরভূম জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হওয়ায় সেই বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করা এবং তার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচন কমিশন। আর যাকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।

তবে শান্তিপূর্ণ ভোট করতে এদিন বীরভূমের 99% বুথে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা জানালে আশ্বস্ত হয় বিরোধীরা। তবে নির্বাচন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বীরভূমের নানুর বন্দর গ্রামে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে চড়াও হয়ে সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

এদিকে গন্ডগোলের খবর পেয়েই সেখানে দ্রুত কুইক রেসপন্স টিম এসে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয় বলে খবর। অন্যদিকে বীরভূমের সদাইপুরের কামারডাঙ্গায় বিজেপির হামলায় 4 জন কর্মী গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি দুবরাজপুরের কাজ থেকে গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে ভোটাররা মোবাইল রেখে বুথে ঢোকায় সেই মোবাইল ফেরত পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে আসলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে তার ছুড়ে ছুড়ে ফেরত দেওয়া হয়। আর এতেই সেখানে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। যার জেরে কিছুক্ষণ স্থগিত থাকে ভোটগ্রহণপর্ব।

এদিকে ভোটগ্রহণ পর্বে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে শাসক দল তৃণমূল বনাম বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সৃষ্টি হয়। তবে শুধু বীরভূমই নয়, এদিন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় বেশ কিছু জায়গায় শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি বুথের ভেতরে ঢুকে অশান্তি পাকাচ্ছেন। এমনকি এক মহিলা কনস্টেবলকে ধমকানো এবং প্রিসাইডিং অফিসারকে ধমকানোরও অভিযোগও ওঠে এই বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে বর্ধমান কেতুগ্রামে 104 এবং 107 নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোট হওয়ার অভিযোগে ওই দুই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগের নেতৃত্বে বিজেপি প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাসের গাড়ির কাঁচ ভাঙার অভিযোগ ওঠে।

এদিকে নদিয়ার হাঁসখালির মুড়াগাছায় শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে ব্যাপক বোমাবাজি হওয়ায় দুজন গুরুতর জখম হন এবং কালীগঞ্জে প্রবল গরমে ভোট দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় এক ভোটারের।অন্যদিকে এদিন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী বহরমপুরের শ্রীগুরু পাঠশালা বুথে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বহিরাগত দিয়ে ভোটে অশান্তি তৈরীর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অধীরবাবু।

পাল্টা তৃণমূলের তরফে অভিযোগ জানানো হয় অশান্তি পাকাতেই অধীর রঞ্জন চৌধুরী এই বুথে এসেছেন। কিন্তু দিনের শেষে কেমন হল চতুর্থ দফার এই ভোট? কি বলছে কমিশন? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন, “বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত গড়ে 76.44 শতাংশ ভোট পড়েছে। শান্তিপূর্ণই ভোট হয়েছে।” সব মিলিয়ে ছোটখাটো দু-একটি ঘটনা ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হয়েছে বলে দাবি কমিশনের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!