এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশে জুলাই ঘিরে মুকুল রায়ের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের বাকযুদ্ধ, রাজ্যে চড়ছে পারদ

একুশে জুলাই ঘিরে মুকুল রায়ের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের বাকযুদ্ধ, রাজ্যে চড়ছে পারদ

এক সময় তৃণমূলের সবথেকে বড় শহীদ সমাবেশ একুশে জুলাইয়ের সমস্ত দিক দেখভাল করতেন তিনিই। মঞ্চ পরিচালনা থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মী সমর্থকদের যাতে কোনো অসুবিধে না হয়, তা সাজিয়ে তোলার ভার ছিল তার ওপরই। কিন্তু তৃণমূলের সেই প্রাক্তন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায় গত দেড় বছর আগেই বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আর তার বিজেপিতে যোগদান করার পর একবার তৃণমূলের শহীদ সমাবেশ হয়ে গেছে, এটা দ্বিতীয় বার।

বস্তুত, এবার একুশে জুলাইয়ে তৃণমূলের শহীদ সমাবেশে ব্যাপক মাত্রায় জনসমাগম করতে তৃণমূল নেতৃত্ব উদ্যোগী হয়েছে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফল অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় সেইভাবে জেলাস্তরে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এই একুশে জুলাই নিয়ে অতটা উন্মাদনা চোখে পড়ছে না।

জেলায় জেলায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বটে, কিন্তু সেখানেও কিছুটা খামতি যেন রয়েই গেছে। যেমন, নদীয়া জেলায় এতদিন গৌরীশংকর দত্ত সভাপতি থাকার সময় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে যে উন্মাদনা ছিল, এবার তা নেই। মহুয়া মৈত্র দায়িত্বে আসলেও সাংসদ হওয়ার সুবাদে তাকে প্রায় সময়ই দিল্লিতে থাকতে হয়। ফলে সেই ভাবে কিভাবে এখানকার কর্মীরা একুশে জুলাইয়ে যাবেন, তা নির্ধারণ করার মতো কেউ নেই বলে দাবি একাংশের।

তবে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা শংকর সিংহ বলেন, “একুশে জুলাইয়ের সব প্রস্তুতি সভায় বিপুল জনসমাগম হচ্ছে। এই জনসভায় মানুষ প্রমাণ করে দেবে যে, তারা আমাদের সঙ্গেই আছেন।” তবে কর্মীসমর্থকরা একুশে জুলাই ঠিক কতটা যাবেন, তা দেখা যাবে সেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনই। কিন্তু তার আগে এবার সেই একুশে জুলাইকে “জলসা” বলে অভিহিত করে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল তুলে দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, সোমবারই কলকাতায় একুশে জুলাই সভার মন্ডপ তৈরীর কাজ খুঁটি পূজার মধ্য দিয়ে শুরু করেছেন তৃনমূল নেতারা। আর সেই প্রসঙ্গেই সোমবার স্বরুপগঞ্জের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, “একুশের সভা এখন জলসায় পরিণত হয়েছে। টলিউডের লোকজন সামনে বসে থাকেন। 2011 সালে মঞ্চে পাগলু নাচ হয়েছে।” এদিকে তৃণমূলের প্রাক্তন সৈনিক তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায় শহীদ দিবসের সমাবেশ নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করায় পাল্টা তাকে কটাক্ষ করেছে ঘাসফুল শিবির।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শহীদ দিবসকে যারা জলসা বলেন, তাদের কতটা অধঃপতন হয়েছে, তা এ থেকেই বোঝা যায়।” অন্যদিকে মুকুল রায়কে তৃনমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উনি তো তৃণমূলের বড় দায়িত্বে ছিলেন। তখন কেন এই নিয়ে প্রতিবাদ করেননি!”

এদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এই ধরনের মন্তব্য করছেন, তখন পাল্টা তার উত্তর দিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, “আমি সেই সময় পাগলু নাচের বিরুদ্ধে মত জানিয়েছিলাম কিনা, সেটা রাজীববাবুর মনে নেই। আর সেই সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী আমার হাত থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে অন্য একজনের হাতে দিয়েছিলেন।”

আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন সৈনিক তথা বিজেপি নেতা মুকুল রায় তৃণমূলের শহীদ দিবস নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করায় এখন রাজ্য রাজনীতিতে যে উত্তাপ আরও ছড়াতে চলেছে, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত প্রায় সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!