এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ৪২১ কোটি টাকার কর ফাঁকি নিয়ে হইচই হতেই আসরে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়

৪২১ কোটি টাকার কর ফাঁকি নিয়ে হইচই হতেই আসরে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়


সমস্যায় জেরবার কোলকাতা কর্পোরেশন। জানা গেছে, কোলকাতা বন্দর কতৃপক্ষের তরফে 422 কোটি টাকার বিশাল অঙ্কের সম্পত্তিকর বাকি থাকলেও তা মোটে এক কোটি টাকাতে মেটানো হয়েছে। কিন্তু এরকমটা হল কেন! বুধবার পৌরসভার অধিবেশনে উপস্থিত থাকলেও এই প্রশ্নের জবাবই দিতে পারলেন না কোলকাতার মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এমনকী তাই নয়, এ ব্যাপারে পুরসভার আগের সিদ্ধান্ত থেকে 180 ডিগ্রি বাঁক নিয়ে তিনি বললেন, “পুরসভার স্বার্থ বজায় রাখার জন্য পুরো টাকা সংগ্রহ করার চেষ্টা করব।” পুরসভা সূত্রের খবর, বকেয়া অর্থ এক কোটি টাকা দিয়ে মেটানোয় হতবাক অনেকেই। জানা গেছে, বন্দর কতৃপক্ষের তরফে পুরসভার এলাকার জমিতে লিজ ভাড়া আদায় শুধু নয়, সাথে সাথে পুরসভার সম্পত্তিকরও তুলে নেওয়া হয়। আর এই বিষয়টি কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল-এর রেসিডেন্ট শাখার নজরে আসে 2014-15 সালে বন্দরের অডিটের সময়। পরে তাঁদের তরফে পুরসভাকে একথা জানানো হয়। পুরসভার তরফে জানা গেছে, এরপরেই বকেয়া টাকা চাওয়ায় কোলকাতা বন্দর তাঁদের 2013-14 সালের বকেয়া করের 60 কোটি টাকা দিয়েছে। এদিকে এ নিয়ে রাজ্যের পুর ও নগোরন্নয়ন দপ্তরের সাথেও কোলকাতার পুরসভার বৈঠক হয়।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এর পরেই এক কোটি টাকা নিয়ে বন্দর কতৃপক্ষ পুরসভায় গেলেও তা নিতে অস্বীকার করেন পুরসভার আধিকারিকেরা। পুরসভা জানায়, 422 কোটি টাকা বকেয়া থাকলে তা এক কোটি টাকায় মেটানো অসম্ভব। তবে এই সমস্যা সমাধানে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, “এই বিষয় নিয়ে মন্ত্রীসভায় আলোচনা হবে।” এদিকে এই বকেয়া টাকা নিয়ে এদিন কোলকাতা পুরসভার অধিবেশনে তুমুল হট্টোগোল বাঁধে। কংগ্রেসের প্রকাশ উপাধ্যায় এ নিয়ে সোচ্চার হলে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যিয় জানান, ” খুব তাড়াতাড়ি বকেয়া টাকা আদায় করা হবে।” পুরসভার আধিকারিকদের একাংশ মনে ঈরছেন, একদিকে বন্দরের বকেয়া টাকা ফেরত পেতে মরিয়া অন্যদিকে এই ইস্যুতে বিরোধীদের সাঁড়াশি চাপে বিপর্যস্ত কোলকাতা পৌরসভা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!