এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিদিকে বলোতে মিলছে সুফল, বিজেপিকে আটকাতে “বিশেষ” রনকৌশল জেলা নেতৃত্বকে পাঠাচ্ছে তৃণমূল?

দিদিকে বলোতে মিলছে সুফল, বিজেপিকে আটকাতে “বিশেষ” রনকৌশল জেলা নেতৃত্বকে পাঠাচ্ছে তৃণমূল?

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল 42 এ 42 এর স্লোগান দিলেও বিজেপির চাপে তাদের 22 টি আসন দখল করেই থমকে যেতে হয়েছে। অন্যদিকে যে রাজ্যে বিজেপির বাতি টিমটিম করে জ্বলত, সেখান 2 থেকে বাড়িয়ে বিজেপি তাদের আসন সংখ্যা 18 করে নিয়েছে।

আর দলের এই খারাপ ফলাফল হল কেন, তার কারণ খুঁজতে গিয়ে তৃণমূল উপলব্ধি করে যে দলীয় স্তরে জনসংযোগের অভাব এবং নেতাদের মধ্যে অহংবোধের কারণেই তাদের ধাক্কা খেতে হয়েছে। তবে এই খারাপ জায়গা থেকে যাতে ভালো জায়গায় দলকে নিয়ে আসা যায়, তার জন্য ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শমতো “দিদিকে বলো” প্রকল্প গড়ে তৃণমূল নেতাদের রাস্তায় নামাতে সক্ষম হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইতিমধ্যেই এই “দিদিকে বলো” প্রকল্পের মাধ্যমে তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা পথে নেমে সাধারন মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ শুরু করেছেন। যার ফলে তৃণমূলের একাংশ মনে করছেন যে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ফের সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছে ঘাসফুল শিবির।

কিন্তু বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূলের নিচুতলার নেতা থেকে কর্মী সমর্থকদের বাড়বাড়ন্ত এবং ঔদ্ধত্য যে দলকে বিপাকে ফেলছে, তা আটকাতে এবার বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বস্তুত, এতদিন রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হত যে, তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

এক্ষেত্রে তারা শাসকদলের সন্ত্রাসকেই বড় করে দেখাত। কিন্তু নিজেদের ভাবমূর্তি ঠিক করতে গেলে বিরোধীদের যে কিছুটা হলেও জায়গা ছাড়তে হবে তা অনুধাবন করে এবার জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠাতে শুরু করল ঘাসফুল শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, তৃণমূলের তরফে জেলার নেতাদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, বিজেপি কোনো জায়গায় গাজোয়ারি করতে হলে তৃণমূলের কর্মীরা যেন পাল্টা তাদের প্রতি আক্রমণ না করেন। এক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবেই গোটা ঘটনাটি প্রতিহত করবার কথা বলেছে শাসকদল।

পাশাপাশি দলীয় স্তরে বিভিন্ন কর্মসূচিতেও যাতে সমস্ত নেতা কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন, তার জন্যেও কড়া নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে। এছাড়াও রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালকে নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কড়া মনোভাব পোষণ করলেও নিচুতলার নেতাকর্মীরা যাতে কোনো বেফাঁস মন্তব্য না করেন, সেই ব্যাপারেও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, সম্প্রতি রাজ্যের একটি কালীপুজোয় রাজ্যপাল উদ্বোধনে আসায় তৃণমূলের এক চেয়ারম্যান সেই ক্লাবের মুখ্য উপদেষ্টা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে ওই তৃণমূল নেতার এই আচরণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তাই এই ব্যাপারে নিচুতলার কোনো তৃণমূল নেতা কোনো বেফাঁস মন্তব্য যাতে না করেন, তার জন্য আগেভাগেই জেলা নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করছে একাংশ।

পাশাপাশি নতুন বছর পড়তে না পড়তেই রাজ্যের একাধিক পৌরসভার নির্বাচন হওয়ায় সেই পৌরসভাগুলোতে এতদিন পৌরপিতা বা পৌর মাতা দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা যেন ভালো করে সাধারণ মানুষের সাথে জনসংযোগ রাখেন, তার নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূলে এতদিন নীচুতলা পর্যন্ত শীর্ষ নেতৃত্বের কন্ট্রোল ছিল না। যার কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনায় মুখ পুড়েছে শাসকদলের। আর তারপরেই সেই এলাকাগুলিতে তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে। কিন্তু এবার শীর্ষ নেতৃত্ব নিজেদের হাতেই রিমোট কন্ট্রোল রেখে জেলাগুলিতে কড়া নির্দেশিকা পাঠিয়ে দলকে গুছিয়ে নিতে চাইছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!