কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে তৃণমূলের প্রচার জলে গেল, ঝামা ঘষলেন শুভেন্দু! জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য December 7, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সম্প্রতি কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল উৎসবে সলমন খানের সঙ্গে পা দোলাতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর সেই বিষয় নিয়েই কটাক্ষ করে একটি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। আর তা নিয়েই গায়ে জ্বালা ধরেছে তৃণমূলের। মুখ্যমন্ত্রীকে নাকি ব্যক্তিগত স্তরে অপমান করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এই অভিযোগে সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে তৃণমূলের মহিলা সাংসদরা। শুধু তাই নয়, রাজ্যেও এই ব্যাপারে রাস্তায় নেমেছে তৃণমূলের মহিলা সংগঠন। তবে অবশেষে গোটা বিষয় নিয়ে তৃণমূলের রাজনীতিকরনের চেষ্টাকে ধুলিস্যাৎ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ঠুমকো শব্দটি ব্যবহার করেছেন বলে তৃণমূলের গায়ে জ্বালা। কিন্তু এই রাজ্য যেভাবে বিপদের মুখে রয়েছে, এই রাজ্যে যেভাবে সাধারণ মানুষ কাঁদছেন, তাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্য যথার্থ বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির। পাশাপাশি তারা এটাও বলছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত স্তরে কোনো অপমান করেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাই গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল জলঘোলা করে ফায়দা তোলার চেষ্টা করলেও, শেষ পর্যন্ত তা বানচাল করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, এদিন গিরিরাজ সিংহের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের লাগাতার বিক্ষোভের বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি তৃণমূলের এই চালাকিকে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “গিরিরাজ সিংহ ব্যক্তিগত স্তরে কাউকে আক্রমণ করেনি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এই কথা বলেছেন যে, রাজ্য যখন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, রাজ্যে যখন কোটি কোটি টাকা লুট হচ্ছে, সাধারণ মানুষ যখন বিপদের মধ্যে রয়েছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী সলমন খানের সঙ্গে একটি পারফরম্যান্স করেছে। তিনি ব্যক্তিগত স্তরে কোনো অপমান করে কাউকে কোনো কথা বলেননি।” একাংশ বলছেন, তৃণমূল এখন বলার চেষ্টা করছে যে, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে। কিন্তু যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী দিনের পর দিন রাজ্যে দুর্নীতি করে রাজ্যকে সর্বনাশের মুখে ফেলেছেন, তাকে কটাক্ষ করলেই দোষ হয়ে গেল? তিনি রাজ্যের কত বেকার যুবতীদের চোখের জল ফেলতে বাধ্য করছেন, তার বেলা? গিরিরাজ সিংহ তো এমন কোনো ভাষা ব্যবহার করেননি, যার জন্য তাকে এভাবে আক্রমণ করতে হবে! তিনি যে হিন্দি ভাষাটা ব্যবহার করেছেন, তার অর্থ তো নাচ। আর মুখ্যমন্ত্রী তো সেই ভাবেই পা দুলিয়েছেন। তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে তৃণমূলের এই রাজনীতি করনের চেষ্টা এবং ঘোলা জলে মাছ ধরা বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলেই দাবি সমালোচকদের। বিজেপির দাবি, তৃণমূল যেভাবে দুর্নীতিতে ফেঁসে রয়েছে, তাতে তারা এখন বিজেপির ঘাড়ে বিভিন্নভাবে দোষ দেওয়ার চেষ্টা করবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে তাদের এই ধরনের প্রচারে কারওর কিছু যায় আসে না। দুর্নীতি থেকে রাজ্যকে রক্ষা করতে বিজেপি তার লড়াই চালিয়ে যাবে। আর তৃণমূল যদি ভাবে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তারা চুরি করেও রেহাই পেয়ে যাবে, তাহলে তারা ভুল করছে। দেশের আইন বাংলায় যে দুর্নীতি হয়েছে, তার রহস্য উদঘাটন করবে। আর শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের আরও অনেককে জেলে যেতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে টাকা চাইতে গিয়ে দিল্লিতে মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। এই গিরিরাজ সিংহ তৃণমূলের মুখোশ খুলে দিয়েছেন। তাই তার ওপর ভীষণ রাগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। সেই কারণে তিনি এখন সেই গিরিরাজ সিংহের একটি মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তার গোটা দলকে নামিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এতে যে বিজেপি বিচলিত নয়, তা স্পষ্ট। উল্টে যত সময় যাচ্ছে, ততই নিজেদের জালে নিজেরাই জড়াতে শুরু করেছে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -