এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মহুয়ার মুখে বড় বড় কথা! সাংসদ পদ টিকবে তো? চাপে ফেললেন সুকান্ত!

মহুয়ার মুখে বড় বড় কথা! সাংসদ পদ টিকবে তো? চাপে ফেললেন সুকান্ত!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তৃণমূলের সব রত্ন দিয়ে তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেউ দুর্নীতির জন্য জেলে যাচ্ছে, আবার কেউ বা টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করছেন। ইতিমধ্যেই এইরকমই একটি ভয়াবহ অভিযোগে চরম চাপে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।‌ বিরোধীদের দাবি, এথিক্স কমিটির তদন্ত শেষ। এবার মহুয়া মৈত্রের এই সাংসদ পদ খারিজ করা উচিত। আর এসবের মাঝেই সেই মহুয়া মৈত্রের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকে কেন বরখাস্ত করা হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। তবে যিনি নিজেই একটি তদন্তের মুখে পড়ে রয়েছেন, তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে কি করে প্রশ্ন তোলেন, তা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি যে কথা বলেছেন, তা নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত, এদিন মহুয়া মৈত্রের পক্ষ থেকে গিরিরাজ সিংহকে নিয়ে আক্রমণ করা হয়। এই তৃণমূল সাংসদ দাবি করেন যে, গিরিরাজ সিংহকে এই মন্তব্যের জন্য বরখাস্ত করতে হবে সংসদ থেকে। আর সেই ব্যাপারেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মহুয়া মৈত্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “সংসদে ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করার জন্য তদন্তের মুখে পড়ে রয়েছেন মহুয়া মৈত্র। তিনি এক্সপেল হতে পারেন। কাজেই যিনি নিজেই এক্সপেল হওয়ার মুখে, তিনি অপর একজনকে এক্সপেল করার দাবি জানাচ্ছেন। এটা হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়।” একাংশ বলছেন, সত্যিই তো তাই। যদি লজ্জা থাকত তাহলে মহুয়া মৈত্র অন্তত সংসদে এখন কথা বলা বন্ধ রাখতেন। কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য অনুযায়ী এরা তো দু কান কাঁটা। তাদের লজ্জা বলতে কিছু নেই। তাই গিরিরাজ সিংহকে নিয়ে মন্তব্য করে আবার খবরের শিরোনামে আসার চেষ্টা করছেন এই তৃণমূল সাংসদ বলেই কটাক্ষ সমালোচকদের।

বিজেপির দাবি, এথিক্স কমিটির তদন্ত শেষ। লোকসভায় স্পিকারের কাছে খুব দ্রুত মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে রিপোর্ট পেশ করা হবে। আর তারপরেই তার সাংসদ পদ থাকবে কিনা, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন। তাই এর মধ্যে বড় বড় কথা বলা অন্তত এই তৃণমূল সাংসদদের পক্ষ থেকে মানায় না। তিনি যে অভিযোগের মুখে পড়ে রয়েছেন, তাতে তার লজ্জা থাকা উচিত। কিন্তু তারপরেও তিনি যে সমস্ত কথা বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে, তা দুর্ভাগ্য জনক ছাড়া আর কিছু নয়। আসলে গোটা বিষয়টি থেকে নজর ঘোরানোর জন্য এবং নিজের সাংসদ পদ টিকিয়ে রাখতেই এই ধরনের কথা বলছেন মহুয়া দেবী বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মহুয়া মৈত্র নিজেও খুব ভয়ের মধ্যে রয়েছেন। কারণ যে কোনো সময় তার সাংসদ পদ চলে যেতে পারে। যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উঠেছে, তা অত্যন্ত মারাত্মক। এটা সকলেই জানেন। তাই এই পরিস্থিতিতে বিষয়টাকে তো ঘোরাতে হবে। তাই নেত্রী যেমন করে বিষয় ঘোরান, ঠিক তার পথেই পরিচালিত হয়ে বেশ ভালো করেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে দোষারোপ করে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে যাতে কেউ চর্চা করতে না পারে, তার চেষ্টাই শেষ পর্যন্ত করে গেলেন এই তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু কথায় আছে, রাখে হরি তো মারে কে! তাই আজকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে হয়ত মহুয়াদেবী কথা বলছেন। কিন্তু ভবিষ্যতে তো তার বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটি যে তদন্ত করছে, তা প্রকাশ্যে আসবে। আর যদি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্যি হয়, তখন মহুয়া দেবীর কি করুন পরিণতি হতে পারে, সেটা তিনি মাথায় রেখেছেন তো? সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর সেই প্রশ্নই তুলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!