এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > সব কিছু কি ঠিক চলছে না রাজ্য বিজেপিতে? সিঁদুরে মেঘ দেখছে গেরুয়া শিবির

সব কিছু কি ঠিক চলছে না রাজ্য বিজেপিতে? সিঁদুরে মেঘ দেখছে গেরুয়া শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগে বিজেপির অন্দরমহলে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে প্রবল অন্তর্দ্বন্দ্ব। কিন্তু মুখে এই ব্যাপারে বিজেপি নেতারা প্রায় সকলেই বলছেন, তাদের দলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মুখে তারা যে কথাই বলুন না কেন, সমস্যা যে ক্রমশ বেড়েই চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গের অন্দরমহলে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জানা গেছে, বর্তমানে দুই বিধায়ক এবং এক হেভিওয়েট বিজেপি নেতাকে নিয়ে চরম সমস্যায় রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

কিন্তু এই তিনজন ঠিক কে কে? বিশেষ সূত্র মারফত খবর, দুই বিধায়কের মধ্যে একজন শুভ্রাংশু রায় এবং অপরজন উইলসন চম্পামারি এবং মনোজ টিগ্গার মধ্যে যে কোনো একজন। আর নেতা হিসেবে যিনি এই তালিকায় রয়েছেন, তার নাম রাহুল সিনহা। আর এই তিনজনকে নিয়ে এখন ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিতে। কিন্তু হঠাৎ করেই তিন নেতাকে নিয়ে কেন বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মুকুল রায়ের পুত্র তথা বিজেপি বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় ফেসবুক একটি পোস্ট করেন। যেখানে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা জানান তিনি। আর তারপরেই তার এই পোস্ট বিজেপি ছাড়ার ইঙ্গিত বলে দাবি করতে শুরু করেন একাংশ। জানা গেছে, বর্তমানে শুভ্রাংশু রায়ের গুরুত্ব তেমনভাবে বিজেপিতে নেই। তাকে কোনো সভা সমিতিতে দেখা যায় না। তাই এই পরিস্থিতিতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বীজপুরে টিকিট পাবেন কিনা, তা নিয়েও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল।

আর এমতাবস্থায় বাবা মুকুল রায়ের শ্রীবৃদ্ধি হলেও, ছেলে শুভ্রাংশু রায়ের এই ধরনের মন্তব্য নিঃসন্দেহে জল্পনা তৈরি করেছে। তাই অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায় এবার বিজেপি ছেড়ে আবার যোগ দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর যদি এমনটা হয়, তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেকটাই চাপে পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তাই শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে এখন কিছুটা হলেও চিন্তায় রয়েছে গেরুয়া শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি সবথেকে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন, প্রথম দিন থেকে বিজেপি করা রাহুল সিনহা। সম্প্রতি বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক থেকে তাকে সরিয়ে দিয়ে তার জায়গায় বসানো হয়েছে তৃণমূল থেকে আগত অনুপাম হাজরাকে। আর এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ উগরে দেন সেই রাহুল সিনহা। 40 বছর ধরে বিজেপি করার পুরস্কার পেলেন তিনি বলে জানিয়ে দেন। আর এরপর থেকেই সেই রাহুল সিনহা দলবদলের মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে মনে করেছিল একাংশ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, কিছুদিনের মধ্যেই তিনি তার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করবেন। তবে এখনও সেই ব্যাপারে কিছু জানাননি রাহুলবাবু। তাই এই পরিস্থিতিতে বিজেপির একাংশের মধ্যে আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে যে, রাহুল সিনহা দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড়সড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যদি তিনি বিজেপি ছেড়ে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেন, তাহলে তা ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে এযাবৎকালের মধ্যে সবথেকে বড় চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

যা সামলাতে বিজেপিকে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত বিষয়ের ওপর দাঁড়িয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যখন তৃণমূলকে কুপোকাত করতে সবথেকে বেশি নজর দেওয়া উচিত ভারতীয় জনতা পার্টির, তখন নিজেদের অন্তর্কোন্দল এবং দল ভাঙ্গানো আটকাতে বিজেপি নেতাদের সবথেকে বেশি ব্যস্ত থাকতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে এখন বিজেপি তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং সমস্যা মেটাতে কতটা উদ্যোগী হয় এবং তাতে কতটা সফলতা আসে, তার ওপরেই তাদের আগামী দিনের সাফল্য নির্ভর করছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!