এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > নবান্ন অভিযানে বাম কর্মীর মৃত্যু পরে সিপিএম নেতার দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য উত্তরবঙ্গে

নবান্ন অভিযানে বাম কর্মীর মৃত্যু পরে সিপিএম নেতার দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য উত্তরবঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের সময় যতই এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে এক বাম কর্মীর মৃত্যুতে রীতিমত চাপ বেড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর। আর এবার এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার ভুট্টাক্ষেতে উদ্ধার হল সিপিএম নেতার রক্তাক্ত দেহ। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে।

জানা গেছে, রবিবার রাতে বাড়ির কাছেই ছিলেন ডালখোলার রহতপুর এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ রফিক। তিনি সিপিএমের গোয়ালতোড় শাখা কমিটির অন্যতম সম্পাদক। কিন্তু সেই সময়ে মোবাইলে তার একটি ফোন আসার পর তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আর এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। পরবর্তীতে সোমবার সকালে ডালখোলা আর উত্তর পাতনোর এলাকায় পেট্রলপাম্পের পিছনে একটি ভুট্টাক্ষেতে সেই সিপিএম নেতার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা তা দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে সিপিএম নেতাকে। এদিকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছে বামফ্রন্ট। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে তারা। যদিও বা তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা সিপিএমের সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, “দলের কর্মী মহম্মদ রফিককে পরিকল্পনামাফিক খুন করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।” যদিও বা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক মনোদেব সিনহা বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই। দুষ্কৃতীরা কোনো দলের নয়। নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করা হোক।”

অর্থাৎ নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা প্রাণহানির আকার নিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে এক যুবকের মৃত্যু চাঞ্চল্য তৈরি করেছে রাজ্যে। আর এই পরিস্থিতিতে উত্তর দিনাজপুর জেলাতে এক সিপিএম নেতার মৃত্যু যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আরও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ঠিক কি কারণে এই সিপিএম নেতার মৃত্যু হল এবং এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ, নাকি ব্যক্তিগত কারণ রয়েছে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!