এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > BCPL নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের? LPG-তে আসতে চলেছে বড়সড় ধাক্কা? মাথায় হাত মধ্যবিত্তের!

BCPL নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের? LPG-তে আসতে চলেছে বড়সড় ধাক্কা? মাথায় হাত মধ্যবিত্তের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতির পর দেশের অবস্থা অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশ পিছিয়ে। ইতিমধ্যেই বহু সমীক্ষায়, বহু রিপোর্টে দেখা গেছে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি বেশ সংকটজনক। তাই ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে পরিস্থিতি সামাল দেবার জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি সংস্থাগুলোকে বেসরকারিকরণের দিকে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একসময় যেমন ব্যাংকগুলিকে বেসরকারিকরনের দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা ওঠে। তবে সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা বিপিসিএলের নিয়ন্ত্রণ এবার পুরোপুরি বেসরকারি করে দিতে উদ্যোগী হয়েছে মোদি সরকার।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও ২০০৩ সালে, সরকার সংস্থাটিকে বেসরকারীকরণের চেষ্টা করেছিল। তবে, জনস্বার্থ মামলায় কেন্দ্রের একটি আবেদনের পরে সুপ্রিম কোর্ট সংসদের অনুমোদন ছাড়াই কেন্দ্রীয় সরকারকে হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম এবং ভারত পেট্রোলিয়ামকে বেসরকারীকরণ থেকে বিরত রাখে। সিপিআইএলের হয়ে সেইসময় বলা হয়েছিল যে বেসরকারি সংস্থাগুলিতে যুক্ত হওয়ার একমাত্র উপায় হ’ল ১৯এর দশকে যে জাতীয়করণ দ্বারা তাদের জাতীয়করণ করা হয়েছিল তা বাতিল করা বা সংশোধন করা। ফলত, কোনও বেসরকারিকরণের মাধ্যমে সরকারকে উভয় ক্ষেত্রেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন হবে। এরপর ২০১৯ সালের ২১শে নভেম্বর ভারত সরকার ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের (বিপিসিএল) বেসরকারীকরণের অনুমোদন দেয়। এবং ২০২০ সালের মার্চ মাসে সরকার তার ৫২.৯৮% শেয়ার বিক্রির জন্য বিড ডাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, BPCL-এর শেয়ার কেনার জন্য ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে আগ্রহপত্র জমা দিতে হবে। তারপর আহ্বান করা হবে দরপত্র। শনিবার সংসদে অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন যে, গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখেই আর্থিক দরপত্র চাওয়ার আগে ভরতুকির বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। কিন্তু এখনও এই কথার স্পষ্ট কোনও আশ্বাসবাণী পাওয়া যায়নি। স্পষ্ট করে তিনি বলেননি, যে বেসরকারি নিয়ন্ত্রণে গেলেও ভরতুকির বিষয়টি কেন্দ্র নিশ্চিত করবে ।কিনা তাঁর এই অনিশ্চিত আশ্বাসে তাই পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না এলপিজি গ্রাহকরা। যেহেতু গত ৪-৫ মাস ধরে রান্নার গ্যাসে ভরতুকির পরিমাণ কমেছে বৈ বাড়েনি। তাই আগামী কয়েকমাসে গ্রাহকরা ভরতুকি আদৌ পাবেন কিনা বা পেলেও কতটা পরিমাণ পাবেন, সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েই গেছে।

অন্যদিকে, শনিবার সংসদে জ্বালানি গ্যাসের এই ভরতুকি কমে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করতে দেখা গেছে তৃণমূল সাংসদ মালা রায়কে। তবে তাঁর প্রশ্নের জবাবে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন কেন্দ্র এখনও রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে দেয়নি। শুধু ভরতুকিযুক্ত গ্যাসের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দামের ওঠাপড়ার সঙ্গে ভরতুকির পরিমাণও ওঠানামা করে। তাই এই মুহূর্তে যেহেতু ভরতুকিহীন এবং ভরতুকিযুক্ত গ্যাসের দামের ফারাক কমে গেছে তাই গ্রাহকরা কম ছাড় পাচ্ছেন। তবে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই জ্বালানি বিক্রেতা সংস্থার বেসরকারিকরণ নিয়ে আপাতত গ্রাহকদের মধ্যে আশঙ্কাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!