এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > অভিষেক, পিকের সামনেই বচসায় নেতারা, থামছে না গোষ্ঠীকোন্দল!

অভিষেক, পিকের সামনেই বচসায় নেতারা, থামছে না গোষ্ঠীকোন্দল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বারবার কড়া বার্তা দেওয়ার পরেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমছে না তৃণমূল কংগ্রেসে। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে শাসকদল খুব একটা ভালো ফল করতে পারেনি এই গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য। যার পরবর্তীতে দলের তরফ থেকে সংগঠনের পরিবর্তন আনার পাশাপাশি সেই দ্বন্দ্ব বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও তা কমতে দেখা যাচ্ছে না। তাই এবার শিলিগুড়িতে উপস্থিত হয়ে সমস্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোকে নিয়ে বৈঠকের পর এক মাসের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করার নির্দেশ দিলেন প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের কমবেশি প্রতি জেলাতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। এদিন শিলিগুড়িতে বৈঠকে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল নেতারা একে অপরের সঙ্গে প্রকাশ্যে বসে জড়িয়ে পড়েন। যার ফলে হতচকিত হয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর। তাই দ্রুত যাতে উত্তরবঙ্গের সংগঠনকে চাঙ্গা করা যায় এবং আগামী এক মাসের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করা যায়, তার জন্য নির্দেশ দিতে দেখা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

বস্তুত, সোমবারের পর মঙ্গলবার সকালেও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে আলিপুরদুয়ার জেলায় সকলের মধ্যে সমন্বয় ঘটানোর নির্দেশ দেন তারা। শুধু তাই নয়, কোচবিহার জেলাতে দ্বন্দ্ব যে আকার ধারণ করেছে, তা যাতে অচিরেই বন্ধ করা যায়, তার জন্য সেখানকার নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। একইভাবে দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়িতেও দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার জন্য কড়া বার্তা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়া বিপ্লব মিত্রকে যাতে কাজে লাগানো যায়, তার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নেতাদের। এদিকে মালদহের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জেলা সভাপতির সঙ্গে বিভিন্ন নেতা এবং তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের দ্বন্দ্ব বাড়তে দেখা যাচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে জেলার সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সেই দিকে নজর রেখে যাতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পথ চলেন, তার জন্য সেই জেলার নেতৃত্বকেও বার্তা দেওয়া হয়। বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূলের শীর্ষ স্তর থেকে জেলা নেতাদের যখন জিজ্ঞেস করা হয়, সমস্ত দ্বন্দ্ব মিটেছে কি না, তখন জেলা নেতারা অকপটে জানিয়ে দেন, সমস্ত গন্ডগোল মিটে গেছে।

কিন্তু এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের সামনে যেভাবে বিভিন্ন জেলার নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হলেন, তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, তৃণমূলের সবথেকে বড় কাটা তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তাই বিজেপিকে আটকাতে এখন তৃণমূলকে আগে নিজেদের ঘর সামলে বিজেপির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যাতে অচিরেই বন্ধ করা যায়, তার জন্য কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঠিক কি আলোচনা হল বৈঠকে? এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “ভোটের প্রস্তুতি এবং সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।” এদিকে এদিনের বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর যা দেখে গেলেন, তার চূড়ান্ত রিপোর্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তুলে দেওয়া হবে বলে খবর। সেদিক থেকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোকে নিয়ে দ্বন্দ্বের খবর পাওয়ার পর সেখানকার নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশের পর সত্যি সত্যিই দ্বন্দ্ব কমে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!