বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রাক্তন মন্ত্রী সহ 15 জন নেতা বহিষ্কার! চাঞ্চল্য শাসকদলে! জাতীয় রাজনীতি October 14, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। বিরোধীদের পক্ষ থেকে ক্রমশ চাপ বাড়তে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের সামনের সারিতে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এবার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং দলের গঠনতন্ত্র ঠিক করতে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে প্রাক্তন মন্ত্রী সহ 15 জন নেতাকে বহিষ্কার করল জনতা দল ইউনাইটেড। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় বিহারের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নির্দেশে মঙ্গলবার এই বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বহিষ্কার কেন? তাহলে কি দলের শুদ্ধিকরণের জন্য এবং বিরোধীদের পক্ষ থেকে যাতে কোনো অভিযোগ না ওঠে, তার জন্য এই চেষ্টা করলেন নীতীশ কুমার? সূত্রের খবর, মঙ্গলবার জেডিইউয়ের পক্ষ থেকে বেশকিছু নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রীকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হয়। যার মধ্যে রয়েছেন, দাদান সিং যাদব, রামেশ্বর পাসওয়ান, কাঞ্চন কুমারি গুপ্তা, রণবিজয় সিং, ভগবান কুশওয়ারা সহ একাধিক বর্তমান এবং প্রাক্তন বিধায়ক। মূলত এই সমস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই দলবিরোধী কাজের অভিযোগ উঠেছিল। যার পরেই তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর তদন্তে এই ব্যাপারে সঠিক প্রমাণ পাওয়ার সাথে সাথেই সেই অভিযুক্তদের দল থেকে বহিষ্কার করার উদ্যোগ নিল জেডিইউ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে শুধু জেডিইউ নয়, সোমবার বিহারের বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকেও দল বিরোধী কাজের জন্য নয় জন নেতাকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। অর্থাৎ এনডিএ জোটের প্রধান দুই দল বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের। কেননা নির্বাচনের সময় যদি দলে থেকে কেউ দলবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন, তাহলে আখেরে ক্ষতি হতে পারে নীতীশ কুমারের দল এবং ভারতীয় জনতা পার্টির। তাই সেই দিকটি মাথায় রেখেই বিজেপির পাশাপাশি জেডিইউয়ের পক্ষ থেকে একাধিক নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রীকে বহিষ্কারের মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হল। পর্যবেক্ষকদের মতে, দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ঢের ভালো। হয়ত বা নীতীশ কুমার এবং বিজেপির পক্ষ থেকে এই মনোভাব এখন পোষণ করা হচ্ছে। আর তাই পুনর্বার ক্ষমতায় আসতে এবং বিরোধীদের হাতে জাতীয় দল বিরোধী নেতাদের জন্য কোনো অস্ত্র পৌঁছে না যায়, তার জন্যই সেই সমস্ত নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হল। সব মিলিয়ে জেডিইউয়ের পক্ষ থেকে একাধিক নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রীকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করার পর সেই সমস্ত নেতাদের ভবিষ্যৎ কি হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -