এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > নতুন করে করোনা নিয়ে আতঙ্কের খবর, ফ্লু ভাইরাসের সঙ্গে ভয়ঙ্কর মিল !

নতুন করে করোনা নিয়ে আতঙ্কের খবর, ফ্লু ভাইরাসের সঙ্গে ভয়ঙ্কর মিল !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের মনে ভয় আতঙ্ক রয়েছে এখনও। অন্যদিকে ভ্যাকসিনের দেখা নেই। তবে এরই মধ্যে সম্প্রতি এমন একটি খবর পাওয়া গেছে, যা কিনা মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ককে আরো দ্বিগুন করে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বস্তুত কিছুদিন আগেই একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিল অনেকবার মিউটেশনের ফলে ভাইরাসের দুর্বল হয়ে যাওয়ার কথা।

অন্যদিকে, এই প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছিল যে, করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। যার ফলে ভবিষ্যতে গিয়ে তা সাধারণ ফ্লু-এর মতই আচরন করবে, যেখানে সাধারন ভাইরাল ফিভারের যেমনভাবে চিকিৎসা করা হয়, সেভাবে চিকিৎসা করলেই কাজ হতে পারে করোনা সংক্রামিত ব্যক্তিটির। কিন্তু সম্প্রতি সেই সম্ভাবনাকে সত্যি করেই দেখা গেছে যে ফ্লু-এর সঙ্গেই ভীষণরকম মিলে যাচ্ছে বর্তমান করোনা ভাইরাসের লক্ষণ।

তবে এর প্রভাব কিন্তু ফ্লুয়ের থেকে অনেক বেশি বলেই দেখা গেছে। আর যা কিনা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে চিকিৎসকদের কপালে। সম্প্রতি, অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণায় দেখা গেছে ব্যাংকনোট থেকে শুরু করে যে কোন সাধারন পৃষ্ঠতলেই এই করোনা ভাইরাসের বেঁচে থাকার নমুনা। তবে সেক্ষেত্রে জানান হয়েছে সবথেকে বেশি ঝুঁকি রয়ে যায় টাকা, কয়েন, টাচস্ক্রিন, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, কিছু ধরার হ্যান্ডেল প্রভৃতিতে। যা কিনা মানুষের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসকেই ইশারা করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত এরপরই মানুষের মনে প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছে তার মানে কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর নিজেদের হাত স্যানিটাইজ করার সঙ্গে সঙ্গে এবার কি তবে ব্যবহার্য জিনিসগুলোকেও স্যানিটাইজ করা প্রয়োজন? তবে চিন্তার আরও একটি কারণ হলো গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, করোনাভাইরাস এই সমস্ত মসৃণ পৃষ্ঠতলের ২৮ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে, যা কিনা ফ্লু ভাইরাসের ১৭ দিন বেঁচে থাকার সঙ্গে খুব একটা তফাতে নেই।

সেইসঙ্গে গবেষণায় দেখা গেছে, গড় তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার উপর ভিত্তি করে গ্রীষ্মের তুলনায় ঠান্ডাতে এরা ৫ থেকে ৭ গুণ বেশি বেঁচে থাকতে পারে। ফলে গ্রীষ্মকালের তুলনায় শীতকালে এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন। যেহেতু, করোনা সংক্রমনের শুরুর দিকে বলা হয়েছিল ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা বা তার বেশি তাপমাত্রায় সাধারনত এই ভাইরাসের বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনা থাকে না, আর তাই ভারতের মতো এমন দেশে করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম।

কিন্তু যেহেতু শীত আসতে আর বেশি দিন বাকি নেই, এবং শীত-গ্রীষ্মের মাঝে ওয়েদার চেঞ্জের সময় সাধারণ ভাবেই দেশে মানুষের সাধারণ জ্বর সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই ভবিষ্যতে সেইসঙ্গে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ কিভাবে সম্ভব হবে সেই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চিকিৎসকদের কপালে।

বস্তুত এতদিন বলা হয়েছিল সংক্রমিত ব্যক্তির মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষত যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তারা নির্দিষ্ট জায়গার বাতাসে কাশি, হাঁচি, কথা বলা, গান গাওয়া, এমনকি নিঃশ্বাস নেওয়ার সময়ও ভাইরাসের কনা বাতাসে মিশে গেলে, সেই একই বাতাসে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া ব্যক্তিকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা রাখে। যার ফলে সামাজিক দূরত্ব থেকে শুরু করে মাস্ক পরা এবং হাত ধোয়ার মতো একাধিক সতর্কতা পালনের কথা জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের এই চ্যালেঞ্জ কিভাবে সামাল দেবেন চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!