মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথ দেখিয়েছেন তাঁদেরকে। তাই এবারে সেই মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়াতে উদ্যোগী বাম শিবির। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 3 রা ফেব্রুয়ারি কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানা পরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসে পড়েন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনায় দেখা যায় প্রশাসনের একাধিক কর্তা ব্যক্তিদের। আর যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করে নানা প্রশ্ন। কেন একজন মুখ্যমন্ত্রী এইভাবে প্রকাশ্যে ধরনায় বসবেন তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। এদিকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসেছেন, ঠিক সেই একই জায়গায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসতে চলেছেন বাম পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র তথা বাম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য।

সূত্রের খবর, শুক্রবার এই মেট্রো চ্যানেলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরনায় বসবেন অশোকবাবু। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে রাজ্যের সমস্ত বাম বিধায়কদের সেখানে উপস্থিত থাকার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের তরফে। এছাড়াও রাজ্য বিধানসভার কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, শিলিগুড়ি পৌরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলর এবং বুদ্ধিজীবি মহলের সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, তরুণ মজুমদার, অনিক দত্ত, বাদশা মৈত্র, চন্দন সেন ও অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের মত বামপন্থী বুদ্ধিজীবী সমাজ কর্মীদেরও সেই ধরনা মঞ্চে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। কেন এই ধরনা?

এদিন এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি পৌরসভার মেয়র তথা বাম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “গত চার বছর ধরে শিলিগুড়ি পৌরসভার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। একাধিকবার চিঠি এবং দেখা করে শিলিগুড়ির মানুষকে পুরো পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় এবং প্রাপ্য প্রায় 14 কোটি টাকা দেওয়ার কথা বললেও তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং পুরমন্ত্রী কোনো পদক্ষেপ করেননি। তাই এবারে কলকাতার মানুষের কাছে রাজ্যের অবিচারের কথা তুলে ধরতে মেট্রো চ্যানেলে আমরা ধরনায় বসছি। এই ব্যাপারে আমরা রাজ্যপালের কাছেও ডেপুটেশন দেবো।”

সব মিলিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে যখন মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন সেই একই জায়গাকে বেছে নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসতে চলেছেন সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্যরা।