এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতা সান্নিধ্যে শোভন-বৈশাখী! কি বলছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়?

মমতা সান্নিধ্যে শোভন-বৈশাখী! কি বলছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়?

দীপাবলীর আবহে এবার রাজ্য রাজনীতিতে বেশ বড়োসড়ো রাজনৈতিক সমীকরণ পরিবর্তনের চিত্র দেখলো পশ্চিমবঙ্গবাসী তথা সমগ্র রাজনৈতিক মহল। প্রথমেই উল্লেখ করা যায়, ইদানীংকালে রাজনীতিতে হওয়া দ্বন্দ্বের ঘটনায় সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের দ্বন্দ্বের ঘটনাগুলি। কিন্তু সব দ্বন্দ্বকে একপাশে সরিয়ে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে কালীপুজোর দিন তাঁর বাসভবনে উপস্থিত হন রাজ্যপাল সস্ত্রীক।

অন্যদিকে, দ্বিতীয় উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি হলো, সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদানকারী শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখযোগ্যভাবে এদিন ভাইফোঁটা নিতে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে। দুটি ঘটনাই রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মুকুল রায় জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে যাওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নিতান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ প্রসঙ্গে তিনি রাজ্যপালের কালীপুজোর দিন মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে যাওয়ার ঘটনাটিও টেনে আনেন। তিনি বলেন, রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধ থাকা সত্বেও রাজ্যপাল কালীপুজোর নেমন্তন্ন গ্রহণ করেন ব্যক্তিগতভাবে।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যপাল ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক ব্যক্তি। অন্যদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপি নেতা। এই ঘটনা বিজেপির পক্ষে অত্যন্ত অস্বস্তিকর বলে মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।

ঠিক একইভাবে মুকুল রায়ের সুরে সুর মিলিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও জানিয়েছেন, “ঠিকই আছে। ওদের পুরনো সম্পর্ক। ফোঁটা নিতেই পারে। কে কার কাছে ফোঁটা নেবে, তা কেউ ঠিক করে দিতে পারে না।”

মঙ্গলবার দুপুর দুটোয় ভাইফোঁটা নিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছান প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ভাইফোঁটার একদিন আগেই সাক্ষাৎ করেছিলেন। আর তারপর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের যাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহলের উদ্রেক করেছে। প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সাথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ দেখা হয় নবান্নে নভেম্বর মাসে। সেসময় শোভন ইস্তফাপত্র দিতে গিয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বহুদিন পর শোভন চট্টোপাধ্যায় এসে কিছুটা আরষ্টতা অনুভব করেন প্রথমে, কিন্তু তারপর আবার পুরনো ফর্মে ফিরে গিয়েছিলেন। তবে দলীয় সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সাথে শোভনের রাজনৈতিক কোনো কথাবার্তা হয়নি। কিন্তু সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সাথে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্কে কোনো রকম ভাঁটা পড়েনি, সেটাই এদিনের ঘটনা প্রমাণ করেছে। ফলে শোভনের ঘরে ফেরা এখন সময়ের অপেক্ষা বলেই দাবি জানাচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

অন্যদিকে এই ঘটনায় চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে রাজ্য বিজেপি মহল। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিজেপিতে নিয়ে এসেছিলেন মুকুল রায়। ফলে তাঁর বিরম্বনাই সবথেকে বেশি বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে এদিন তিনি তাঁর উদ্বেগ সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার জন্যই শোভন চট্টোপাধ্যায় তাঁর বাসভবনে গেছেন।

তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজনৈতিক মহলের অলিতে-গলিতে এখন তীব্র গুঞ্জন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরত আসা নিয়ে। উল্লেখ্য, বিজেপির যোগদান পর্বেই শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাথে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কোথাও কোথাও সংঘাত বাঁধে। উপরন্তু বিজেপির দলীয় কাজকর্মে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনোই দেখা যায়নি। ফলস্বরূপ, রাজনৈতিক মহলে ভাইফোঁটার ঘটনায় তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আপাতত ভবিষ্যতে কোন সমীকরণের পথে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি হাঁটতে চলেছে সেদিকে নজর রাখবে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!