এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ‘কম টাকা দেওয়ার অজুহাতে’ রাজ্য করলো নাম বদল – ফাঁস কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির সামনে

কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ‘কম টাকা দেওয়ার অজুহাতে’ রাজ্য করলো নাম বদল – ফাঁস কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির সামনে


কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের খরচা বাবদ সঠিক পরিমান অর্থ কেন্দ্র রাজ্যসরকারকে দেয় না। এ অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগেও ছিল। লোকসভা ভোটের মুখে সে অভিযোগের সুর ফের চড়া করে কেন্দ্রের প্রকল্পগুলির নাম বদলের নির্দেশ দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

সম্প্রতি এমনই একটি প্রকল্পের কাজের গতিপ্রকৃতি তদারক করতে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রধান সচিব দুর্গাশঙ্কর মিশ্রের নেতৃত্বে রাজ্যে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। বৈদ্যবাটিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রকল্পের কাজ দেখতে গিয়ে অবাক হয়ে যান দুর্গাশঙ্কর বাবু। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পেই কেন্দ্রীয় লোগো ছিল না সেখানে। তারপরই তিনি নির্দেশ দেন,সব কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে কেন্দ্রের লোগো লাগাতেই হবে।

এই নির্দেশের ঘোরতর বিরোধ করে রাজ্য সরকার। তাঁদের বক্তব্য,প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি করতে খরচ ধরা হয় ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার দেয় মাত্র দেড় লক্ষ টাকা। রাজ্য সরকার দেয় ১ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা। আর বেনিফিসিয়ারি অর্থাৎ যাঁর বাড়ি, তাঁকে দিতে হয় ২৫ হাজার টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে রাজ্য সরকার যেহেতু বেশি খরচা করছে তা এই প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর নাম থাকা নিরর্থক।

তাই কেন্দ্রের নাম পাল্টে করা হয়েছে বাংলার আবাস যোজনা। মোট ৩ লক্ষ ৩০ হাজার বাড়ি তৈরির অনুমোদন মিলেছে এই প্রকল্পে। এর মধ্যে ১ লক্ষ ২৪ হাজার বাড়ি ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলি অবিলম্বে তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গ সফরে এসে রাজ্যের নগরোন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিব সুব্রত গুপ্ত, হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন, কেএমডিএ’র চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার সঞ্জয় বনসল এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (পিএমএওয়াই), অম্রুত, ন্যাশনাল আরবান লাইভলিহুড মিশন (এনইউএলএম), গ্রিন সিটি মিশন, স্বচ্ছ ভারত, নমামি গঙ্গে প্রকল্পের কাজের খতিয়ান নিয়ে বিস্তারে আলোচনা করেন দুর্গাশঙ্কর মিশ্র।

বৈঠকে নমামি গঙ্গে প্রকল্পে মহেশতলা পুরসভার কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। রাজ্যে ৪১টি পুরসভায় এই প্রকল্পের কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠকেই রাজ্যের নগরোন্নয়ন দপ্তরের অফিসাররা দাবি করেন,কেন্দ্রীয় সরকারের যেসব প্রকল্পের টাকা এখনো বকেয়া রয়েছে সেগুলো অবিলম্বে রাজ্যের তহবিলে পাঠানো হোক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দেখানো হয় কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের কর্তাদের। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে রাজ্যের উন্নয়ন দেখে কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা খুশি হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়িগুলি দেখার সময় তাতে কেন্দ্রের লোগো কোথায় রয়েছে জানতে চাওয়া হলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এরপর বৈদ্যবাটিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়িগুলো দেখতে গিয়ে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের নজরে আসে একটা বাড়িতেও কেন্দ্রের লোগো নেই। এরপরই প্রতিটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কেন্দ্রের লোগো লাগানোর পক্ষে সওয়াল তোলেন নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব ইউ কে জিন্দাল। আরো জানান, সাধারণ মানুষের নজরে আসে এমন জায়গাতেই লোগো লাগাতে বলেন তাঁরা।

এরপর নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রধান সচিব দুর্গাশঙ্কর মিশ্র জঞ্জাল ব্যবস্থাপনার কম্পোজিট ডাম্পিং গ্রাউন্ড ঘুরে দেখে রাজ্যসরকারের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পরে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রধান সচিব রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। সেখানে রাজ্যের চলতি প্রকল্পগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

এই প্রেক্ষিতে রাজ্যসরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার লোগো এই মুহূর্তে রাজ্যে লাগাতে দেবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ রাজ্যের দাবী অনুযায়ী কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ বকেয়া টাকা যতদিন না রাজ্যের খাতে জমা হচ্ছে ততোদিন এ ব্যাপারে রাজ্যসরকার সক্রিয়তা কম দেখাবে। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে লোকসভা ভোটের মুখে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সংঘাত ফের দানা পাকাতে পারে বলেই মনেই করছে বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!