‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর’ স্বপ্ন আরো উস্কে দিলেন ফেডারেল ফ্রন্টের হেভিওয়েট নেতা কলকাতা জাতীয় বর্ধমান রাজ্য August 10, 2018 দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন – আর সেই নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ত্বাধীন বিজেপি সরকারকে সড়াতে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে ফেডারেল ফ্রন্ট গঠন করার প্রচেষ্টায় আছেন তিনি। এর আগে বিভিন্ন জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হওয়া তাঁর লক্ষ্য নয়, বরং কেন্দ্র থেকে ‘জনবিরোধী’ বিজেপি সরকারকে হঠানোই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। আর সেই কাজে তিনি বা তাঁর দল কাঠবেড়ালির মত সেতুবন্ধের কাজ করতে চায়। আর তাই বাংলার জনগণ তাঁর দলকে রাজ্যের ৪২ টি আসনেই জয়ী করুক বলেও তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে, রাজ্য থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সত্যিই যদি ৪২ টি আসন জিততে পারে এবং ফেডারেল ফ্রন্ট সরকার গঠনের জায়গায় থাকে তাহলে অবশ্যাম্ভাবী যে সেই জোটে তৃণমূল কংগ্রেস সবথেকে বড় শরিক হতে চলেছে। আর তাই প্রথম ‘বাঙালি’ প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার স্বপ্নটা ক্রমশ বাড়ছে অগণিত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের সেই জল্পনাকে আরো উস্কে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত ফেডারেল ফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষনেতা, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার প্রধান বাবুলাল মারাণ্ডি। গতকাল, বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরের পলাশডিহায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি, আর সেখানেই জাতীয় রাজনীতি নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি একথা জানান। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীত্ত্বের কথা না জানালেও, যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে তিনি জানান, দেশবাসীর দাবি, বিরোধী দলগুলি এক হয়ে ভোটে লড়ুক। আর ফেডেরাল ফ্রন্টের নেতৃত্বের ব্যাপারে সবাই যা ঠিক করবে আমরা তার সঙ্গে আছি। আমি মনে করি, মমতা ব্যানার্জি কারও থেকে কম নন। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে নিজের দমে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন। তাই নিশ্চিতভাবেই, কেন্দ্রে পরবর্তী যে সরকার আসবে তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে দিদির। প্রসঙ্গত, এর আগে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়াও তৃণমূল নেত্রীর প্রধানমন্ত্রীত্ত্বের ব্যাপারে সওয়াল করেন। কিন্তু বর্তমানে ম্যাসাঞ্জোর নিয়ে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের সম্পর্কের যেরকম অবনতি হয়েছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বক্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -