এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মোদী-জাদুর কি দিন ফুরাইল? উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হতেই প্রশ্ন গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই!

মোদী-জাদুর কি দিন ফুরাইল? উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হতেই প্রশ্ন গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই!


উওরপ্রদেশের কৈরানা উপনির্বাচনে বিজেপির মুখ থুবড়ে পড়ায় বেশ প্রশ্ন চিহ্নে মুখে পড়তে হল মোদীজিকে। আর যেটা ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের আগে মোটেই ভালো খবর নয় পদ্মশিবিরের জন্য। রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে, কৈরানাতে বিরোধী জোটকে পদ্মশিবিরের দাপট দেখাতে মুখ্যমন্ত্রী যোগীজির পাশাপাশি মোদিজীকেও কয়েকবার প্রচারে যেতে দেখা গেছিলো। বিজেপি শিবিরের ভরসা ছিলো কৈরানাতে বিরোধীরা বিজেপির বিপরীতে জোটবদ্ধ হলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তার সামনে টিকতে পারবে না। কিন্তু সেগুড়ে বালি! চাল গেলো উল্টে। জোটবদ্ধ বিরোধীদের সম্মুখে ধরাশায়ী হতে হলো খোদ পদ্মশিবিরকেই।

তবে যোগীজির রাজ্যের এই উপনির্বাচনের আগে বিজেপির নেতৃত্ব মহল বুঝেগেছিলেন যে রাজ্যের জমি তাঁদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। ওই অবস্থায় যোগীজিকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো করা সম্ভব নয়। এরকম অবস্থায় নিরুপায় হয়ে তাঁরা ভরসা করেছিলেন মোদী-ম্যাজিকের উপর। তাঁরূ আশা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে কৈরানা কেন্দ্র গেরুয়া ঝান্ডা গাড়বেন। কিন্তু হল তাঁর বিপরীত। বিজেপির এই পরাজয়কে নিয়ে জল্পনা আপাতত তুঙ্গে পদ্মশিবিরের অন্দরেই। তবে কি মোদীজির ভাবমূর্তি কাজ করা বন্ধ করে দিল তাও লোকসভা ভোটের আগে? মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের। তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। তবে তাঁরা অনুমান করেছেন যে গোটা দেশেই বিজেপির পরাজয়ের কারণের গুরুভার শুধু বিরোধী পার্টির জোটবদ্ধতার উপর বর্তায় না। এর পেছনে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে অসন্তুষ্ট দলিত এবং নিরাপত্তাহীনতার শিকার সংখ্যালঘুদের।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

নির্বাচনগুলোতে বিজেপির পিছনে হটে যাওয়ার ঘটনাকে লোকসভা ভোটে সবুজ সংকেত হিসাবে দেখছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রাহুল গান্ধী। সামনে নির্বাচন আছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ,ছত্তীসগড়েও। কংগ্রেস মুখিয়ে আছে বিজেপির হার দেখার জন্য। কারণ সব জায়গাগুলোতেই বিজেপির বিপ্রতীপে শক্তিঘাঁটি হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে হাতপার্টি। রাহুল গান্ধী চান অন্যান আঞ্চলিক দল গুলো পার্থী না দিলেও মোদী বিরোধী প্রচারে তাঁদের সঙ্গে থাকুক। এদিন কৈরানা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের সাফল্যকে কাজে লাগিয়েই লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে একটি জাতীয় মঞ্চ গড়ে তুলেছেন রাহুল গান্ধী।  কংগ্রসের অন্দরের খবর থেকে জানা যাচ্ছে, তিনি নাকি কোনো বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের কথা বলছেন না। কোনো দলের উপর চাপও সৃষ্টি করছেন না ইউপিএতে আসার জন্য। সমাজবাদী পার্টি,বহুজন সমাজ পার্টি,জেএমএম,এনসিপি র মতো দলগুলোতে ইউপিএর পুরানো সঙ্গী। তবে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে বিজেপি বিরোধীতায় প্রধান ভূমিকা নিয়েছে চন্দ্রবাবু নাইডু,চন্দ্রশেখর রাওরা। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও সবাইকেই পাশে রাখার মাস্টারপ্ল্যান করছেন রাহুল গান্ধী। এমনটাই জানা যাচ্ছে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে।

প্রসঙ্গত, ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখা যায়, রাজীব গান্ধী যখন কংগ্রেসের হয়ে ইলাহাবাদের নির্বাচনে লড়ছিলেন  তখন বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংহ,দেবীলাল থেকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা জোটবদ্ধ হয়ে নেমেছিলেন কংগ্রেসের বিপ্রতীপে। আজও কাহিনী সেই এক। তবে স্থান পরিবর্তন হয়েছে রাজার। কংগ্রেস বিরোধীতায় জায়গায় এসেছে বিজেপি বিরোধীতা। এরকম পরিস্থিতিতে কৈরানার নির্বাচনে বিজেপির ‘ইন্দ্রপতন’ কে হাতিয়ার করেই চলতি বছরের মধ্যপ্রদেশ,রাজস্থান এবং ছত্তীশগড়ের ভোটেও লড়াই করতে চান রাহুল গান্ধী। তবে তাঁর লক্ষ্য অবশ্যই ২০১৯ এর লোকসভা নিবাচনে কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!