এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হেভিওয়েট নেতার দ্বন্দ্ব কাজে লাগিয়েই কি এবার সরকার ফেলতে চলেছে বিজেপি?

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হেভিওয়েট নেতার দ্বন্দ্ব কাজে লাগিয়েই কি এবার সরকার ফেলতে চলেছে বিজেপি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আবারও কংগ্রেস শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের গুঞ্জন তীব্র। বিভিন্ন মহলে শোনা যাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশের পর কি আবার মরুশহরও হাতছাড়া হতে চলেছে কংগ্রেসের? সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে তীব্র দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের। আর তারপরেই কংগ্রেস শিবিরের ভাঙনের ছবি আরও স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট 30 জন বিধায়কসহ দিল্লিতে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আর এবার প্রশ্ন উঠেছে, মাধবরাও সিন্ধিয়ার মতন এবার কি পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চলেছেন শচীন পাইলট বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে? যদিও এই মুহূর্তে রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট বিজেপি শিবিরে যোগদান করার কথা সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে রাজস্থান ঘিরে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা বলে জানা যাচ্ছে। কোনো কোনো সূত্রে জানা যাচ্ছে, সোমবার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে শচীন পাইলট দেখা করতে চলেছেন।

যদিও বিজেপিতে যোগদান করার কথা শচীন পাইলট সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিলেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে তাহলে তিনি কেন 30 জন বিধায়কের সমর্থন আছে বলে দাবি জানিয়ে সোজা দিল্লি চলে এলেন! রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে শচীন পাইলট যেভাবে 30 জন বিধায়কের সমর্থন আছে বলে দাবি জানিয়েছেন, তাতে তিনি রাজস্থান সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে রাজস্থানে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের নেতৃত্বে একটি দলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং এই বৈঠকে রীতিমত হুইপ জারি করে প্রত্যেক কর্মীকে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। যদিও এই বৈঠকে শচীন পাইলট এবং তাঁর অনুগামীরা উপস্থিত থাকবেন না বলেই ধরে নেওয়া যায়। অন্যদিকে রাজস্থানের কংগ্রেস শিবির দাবি করেছে তাদের সঙ্গে 109 জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাই শচীন পাইলট যদি 30 জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে যান তাতেও রাজস্থান সরকার পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রেখেছে গেরুয়া শিবির।

এখনো পর্যন্ত তাঁদের পক্ষ থেকে কোনরকম মন্তব্য করা হয়নি। অন্যদিকে রাজস্থান কংগ্রেসের এক নেতার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালের বৈঠকেই পরিষ্কার হয়ে যাবে শচীন পাইলট এবং তাঁর অনুগামীদের নিয়ে কি ভাবছে রাজস্থান কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপির বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শচীন পাইলট কেন্দ্রীয় বিজেপি সভাপতির সঙ্গে যে দেখা করবেন তা প্রায় নিশ্চিত। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এই মুহূর্তে পাশে রয়েছেন বন্ধু শচীন পাইলটের।

এবং তার হাত ধরেই গেরুয়া শিবিরে শচীন পাইলটের প্রবেশ হবে কিনা সে দিকেই এখন লক্ষ্য সবার। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে যেভাবে কংগ্রেস শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ পাচ্ছে, তাতে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের গুরুত্ব কমছে বৈ বাড়ছে না। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের মত রাজস্থানের কুরসী দখল করাও যে গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের। তবে এই মুহূর্তে রাজস্হানের রাজনৈতিক দ্বন্দ কোনদিকে মোড় নেয়, সেদিকেই নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!