উত্তরবঙ্গে ফের তৃণমূলে যোগ বহুর, বিজেপির জন্য বাড়ছে চাপ! উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য December 6, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তরবঙ্গের ভাঙন রুখতে শনিবার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের হাজার হাজার নাগরিককে নিয়ে রাজ্যের চার মন্ত্রী শিলিগুড়ির রাজপথে মিছিল করবেন বলে জানা গিয়েছিল। যাঁদের মধ্যে জানা গিয়েছিল পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের নাম। জানা গিয়েছিল, উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে অনেকদিন আগেই উদ্যোগী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে তিনি শেরপা, তামাং, গুরুং, লেপচা প্রভৃতি সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক পৃথক উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেছেন বলেও জানা যায়। তাই এবার সেই সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলির একাংশের নেতৃত্বেই বৌদ্ধরা তৃণমূলে শামিল হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছিল। সেইসঙ্গে গতকালের এই অনুষ্ঠানেই পশ্চিমবঙ্গ বুদ্ধিস্ট সেলের প্রধান নেতা নিমা ওয়াংদি শেরপাও তৃণমূলে যোগ দেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি যখন ধর্মের নামে বিভেদের খেলা খেলছে বলে অভিযোগ শোনা গিয়েছিল বিরোধীদের মুখে, তখন নানা ধর্ম ও জাতির মানুষের একসঙ্গে তৃণমূলে আসাটা তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করা করেছেন তাঁরা। এদিন পশ্চিমবঙ্গ উদ্বাস্তু সেল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেখানে উপস্থিত মন্ত্রীদের প্রত্যেকেই বিজেপি রোখার সম্পর্কে আগাম বার্তা দিতে শোনা গেছে। আপনার মতামত জানান - এদিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “বিজেপি ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে ভারতবর্ষে বাঁচতে চায়, তারা মানুষের কাজ করে না। একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিশ্চিয়ান / শিখ ইহুদি মুসলমান / আমার চক্ষে সব সমান / যত আছে নানা জাতি / সবাই আমার আপনজন / সবাই আমার জ্ঞাতি।” সেইসঙ্গে তাঁকে কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গেও বলতে শোনা যায়। তাঁর কথায়, “দিল্লি হরিয়ানায় হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কৃষক রাস্তায় বসে রয়েছেন। আর সেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী বাড়িতে মিটিং করছেন। যারা কৃষকের দুঃখ বোঝে না, যারা অন্নদাতাদের পাশে দাঁড়ায় না, তাদের অবিলম্বে উত্খাত করা উচিত।” অন্যদিকে, করোনা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তিনি। তাঁর কথায়, করোনা সংক্রমিতদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ৪২০০ কোটি টাকা খরচ করেছেন। আর বাংলার মানুষের জন্য কেন্দ্র সরকার মাত্র ১৮৩ কোটি টাকা দিয়েছে। তাঁর দাবি, কেন্দ্র সরকার বাংলার মানুষকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। সেখানে আম্ফনে ১ লক্ষ ২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেখানে দিল্লির সরকার ২০০০ কোটি টাকা দিয়েছে। তারা ক্ষয়ক্ষতির ২ শতাংশ দিয়ে ১০০ শতাংশ ভোট চাইছে বলেই অভিযোগ করেছেন মন্ত্রী। তাই তাঁর অঙ্গীকার ২০২১ সালেই এই সমস্ত কিছুর প্রতিশোধ নিতে হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেইসঙ্গে এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে হুংকার দিয়ে তিনি বলেন, যারা মিথ্যা প্ররোচনা আর উত্তরের মানুষকে ভাঁওতা দিয়েছে, ২০২১-এর ভোটে তাদের যোগ্য জবাব দিতে হবে। তারা যে ক্ষমতায় আসবে বলে দিবাস্বপ্ন দেখছে, সেটা আগেই তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, যারা কৃষকের দুঃখ বোঝে না, অবিলম্বে তাদের উত্খাত করা দরকার। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিন বিজেপি উত্তরবঙ্গ তাদের হাতের মুঠোয় বলে যতই দাবি করুক না কেন, গতকাল তরাই, ডুয়ার্স, পাহাড়ের নানা জাতি ও ধর্মের অন্তত ৭ হাজার মানুষ যেভাবে তৃণমূলে যোগদান করেছে, তাতে লড়াইটা যে এত সহজ হবে না, সেটাই মনে করছেন তাঁরা। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -