এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > আগামিকাল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস, ব্যর্থ করতে প্রস্তুতি তুঙ্গে!

আগামিকাল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস, ব্যর্থ করতে প্রস্তুতি তুঙ্গে!


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতায় এবার দেশজুড়ে আগামীকাল সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস সমর্থিত ট্রেড ইউনিয়নগুলি। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার রাজ্য সরকার আসরে নেমেছে রাজ্যজুড়ে এই বনধ ব্যর্থ করতে। আর তার জন্যই নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রস্তুতি। এই কারণেই এবার রাজ্যের বাম এবং কংগ্রেস একযোগে সমালোচনা চালাতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের পাশাপাশি রাজ্যের তৃণমূল সরকারের। প্রসঙ্গত, আগামীকাল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ডাকা বনধের সমর্থন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসকেও ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্যের বাম শ্রমিক সংগঠনগুলো। বনধ ব্যর্থ করার প্রস্তুতি নিলে তা ঠেকানো হবে জোরদারভাবে।

অন্যদিকে এই বনধ নিয়ে রাজ্য সরকার এবং বিরোধীদের যে বিরোধিতা দেখা দিচ্ছে, তাতে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়তে চলেছেন নিত্যযাত্রীরা বলে মনে করা হচ্ছে। দেশজুড়ে বাম কংগ্রেস সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা বনধ অসফল করতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তৃণমূলের মতে, করোনার জন্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারির ভ্রান্ত নীতির জন্য দেশের অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয়। তার মধ্যেই নতুন করে ধর্মঘট ডাকা মানে যথারীতি দেশের অর্থনীতিতে আঘাত করা। আর তাই তৃণমূল সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে এই ধর্মঘটে সামিল হচ্ছেনা। যে কারণে আগামীকাল রাজ্য সরকারের সঙ্গে ধর্মঘটীদের তীব্র বিরোধ লাগার সমূহ সম্ভাবনা ক্রমশ ফুটে উঠছে।

অন্যদিকে রাজ্য সরকার এই ধর্মঘট ঠেকাতে ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছে। একদিকে যেমন প্রশাসন কাজ করছে, অন্যদিকে রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার প্রচেষ্টা চলছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে নবান্নে রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকেরা বেসরকারি বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। এই বৈঠকে বেসরকারি বাস মালিকদের বৃহস্পতিবার রাস্তায় বাস নামানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বেসরকারি বাস মালিকরা এ ব্যাপারে কোনো আশ্বাস দেননি। তবে রাতের দিকে রাজ্য সরকার বাস মালিকদের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে আশ্বাস দিলে তাঁরা আগামীকাল রাস্তায় বাস নামাতে রাজি হয়েছে।

তবে কলকাতা থেকে জেলার সর্বত্র সরকারি বাস বেশি সংখ্যায় পাওয়া যাবে কালকে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামীকাল নিত্যযাত্রীরা যাতে রাস্তায় বেরিয়ে কোন সমস্যায় না পারেন তার জন্য দেড় হাজার সরকারি বাস নামানোর পরিকল্পনা চলছে। পাশাপাশি বেসরকারি বাস মালিকদের পক্ষ থেকে প্রায় 4 হাজার বেসরকারি বাস রাস্তায় নামতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। অটো, ট্যাক্সি এবং ক্যাবও পর্যাপ্ত পরিমাণে রাস্তায় থাকবে বলে নিশ্চিত করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে পাশাপাশি রাস্তায় নেমে যানবাহন না পেলে সাধারণ মানুষের জন্য রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের কন্ট্রোলরুম 24 ঘন্টার জন্য খোলা থাকছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে ধর্মঘটের দিন রাস্তায় বাস নামানোর প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই ওয়েস্টবেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বোস জানিয়েছেন, বাসের চাবি যেহেতু শ্রমিকদের হতে থাকে তাই শ্রমিকরা আসলেই রাস্তায় গাড়ি নামবে। কিন্তু বাস নামানোর পর যদি বাস ভাঙচুর হয় তাহলে তার ক্ষতিপূরণের ব্যাপারটি সরকারকে দেখতে হবে। সরকারও ক্ষতিপূরণের ব্যাপারটি গুরুত্বসহকারে দেখছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে রাজ্য পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সিএসটিসি, সিটিসি এবং ডাব্লুবিএসটিসির থেকে আগামীকাল কলকাতা এবং শহরতলি জুড়ে প্রায় 1400 থেকে 1500 বাস রাস্তায় থাকবে।

পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হবে। যাত্রীরা কোথায় বাস না পেলে পরিবহণ দপ্তরের টোল ফ্রি নাম্বার ১৮০০৩৪৫৫১৯২, ৮৯০২০১৭১৯১ তে ফোন করলে কাজ হবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে বাস নামানোর পাশাপাশি ধর্মঘটের সকালে অবরোধ ঠেকাতেও পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা করা হচ্ছে নবান্নের পক্ষ থেকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় 5000 ফোর্স থাকবে কাল শহরজুড়ে। লালবাজারের পুলিস আধিকারিকেররাও রাস্তায় নামবেন বলে জানা গিয়েছে। সকাল থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পোস্টেড থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার অফিসাররা। সেইসঙ্গে রাস্তায় নজরদারি চালাবে দশটি কুইক রেসপন্স টিম। প্রয়োজনমতো বিভিন্ন ডিভিশন থেকে বাড়তি ফোর্স নেওয়া হতে পারে বলে খবর।

পাশাপাশি পিটিএস, মেয়ো রোড, হেস্টিংস, রানী রাসমণি, স্ট্র্যান্ড রোড, ধর্মতলা বাস ডিপো ও যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ডে পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। একইসাথে জেটিঘাট, স্ট্র্যান্ড রোডের যাত্রীদের যাতে কেউ বাধা না দিতে পারে, সে ব্যবস্থাও রাখা হবে বলে খবর। ধর্মতলা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে বনধের সমর্থনে মিছিল, মিটিং, রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ হবার সম্ভাবনা থাকছে। আর তাই এই দুই জায়গায় জলকামান রাখা হচ্ছে।

সব মিলিয়ে আগামীকাল রাজ্য সরকার এবং বনধ সমর্থকদের মধ্যে প্রবল সংঘাত লাগার সম্ভাবনা। তবে বনধ সমর্থনকারীরা এই বনধ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ডাকলেও যেভাবে রাজ্য সরকার তা বানচাল করতে উঠে পড়ে লেগেছে, তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের আঁতাতের বিষয়টি আবারও প্রকাশ্যে এনে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন বনধ সমর্থনকারীরা। অন্যদিকে বনধ সমর্থন নিয়ে যেভাবে বাম কংগ্রেস জোট রাজ্যে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!