এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > আবেদনে মিলল সাড়া! মুকুলের জন্য তিনমাসের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল? বাড়ছে জল্পনা

আবেদনে মিলল সাড়া! মুকুলের জন্য তিনমাসের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল? বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৯ সালের ৯ ই ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজার ঠিক আগের রাতে নদীয়ার হাঁসখালিতে নিজের বাড়ির কাছেই গুলি করে হত্যা করা হয় কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে। এরপর বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুনের ঘটনায় আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জনৈক ব্যক্তি মিলন সাহা।

এরপর এই অভিযোগের উপরে ভিত্তি করে এই ঘটনার তদন্তে নামে সিআইডি। এই ঘটনা সিআইডি পাঁচজন সন্দেহভাজনকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে। গত ২০১৯ সালের ১৪ ই জুন সন্দেহভাজন তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়। কিন্তু প্রমাণের অভাবে দুজন নিষ্কৃতি পান। যারা হলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

এভাবে বিজেপি নেতা জগন্নাথ সরকার ও মুকুল রায়ের নিষ্কৃতি মেলায় এই মামলার অভিযোগকারী মিলন সাহা গত ২০১৯ সালের ২০ সে আগস্ট পুনরায় আদালতে পিটিশন দাখিল করেন। তাঁর দাবি ছিল, বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ও জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে যখন তদন্ত চলছে, তখন তাঁদের নাম চার্জশীট থেকে বাদ দেওয়া আইন সঙ্গত নয়। এরপর গত ২০১৯ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর আদালত তাঁর দাবি মেনে নেয় ও এই দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাবার নির্দেশ দেয়।

এরপর এই দুই নেতার বিরুদ্ধে পুনরায় তদন্ত শুরু হয়। এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই তদন্ত চলাকালীন তাদের হাতে আসা কল রেকর্ড অনুযায়ী, বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুন করার পরের দিন এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুন্ডারির সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ সরকার। এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বেশ কয়েকদিন ভবানী ভবনে তলব করা হয়। এ প্রসঙ্গে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানিয়েছেন, ‘‘একই সংস্থা প্রশ্ন করছে, আমি একই উত্তর দিচ্ছি, অথচ তারা দু’বার দু’রকম চার্জশিট দিচ্ছে। এটা ভোটের আগে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস এর খুনের মামলায় গতকাল সোমবার দুপুরে নদীয়ার রানাঘাটের এসিজেএম আদালতে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিলেন এই মামলার তদন্তকারী অফিসার কৌশিক বসাক। রানাঘাট এসিজেএম আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রদীপ প্রামাণিক এ প্রসঙ্গে জানান, ” অতিরিক্ত চার্জশিটে জগন্নাথ সরকারকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) এবং ১২০(বি) (ষড়যন্ত্র) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। মুকুল রায়কে সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখা হয়েছে। ”

প্রসঙ্গত এই খুনের মামলাটি সম্প্রতি অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের এজলাসে চলছে। এসিজেএম প্রত্যয়ী চৌধুরী আগামী ১৪ ই অক্টোবর বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে, এই মামলার চার্জশিটে সন্দেহভাজন হিসেবে মুকুল রায়ের নাম থাকলেও, সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি। তাঁর সম্পর্কে তদন্ত করার জন্য সিআইডি আদালতের কাছে সময় চেয়েছে। আদালত ৩ মাস সময় দিয়েছে তদন্তের জন্য।

এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, ” জগন্নাথ সরকারের কাছে অভিযুক্ত আশ্রয় চেয়েছিল, তিনি দেননি। এই সামান্য কারণে তাঁর নাম চার্জশিটে রাখা যায় কি? ভোটের আগে বিজেপি নেতাদের ফাঁসানো বাড়ছে।” আবার এ প্রসঙ্গে জগন্নাথ সরকার জানিয়েছেন, ” যতই চাপ তৈরি করা হোক, মুকুলদা আমাদের সেনাপতি হিসেবে বিজেপিতেই থাকবেন।” অন্যদিকে, এ সম্পর্কে বিজেপি নেতা মুকুল রায় জানিয়েছেন, ” পুরোটাই তো জাল। প্রথমে চার্জশিটে নাম বাদ দেওয়া হল, আবার ঢোকানো হল। এই ঘটনার বিন্দুবিসর্গ আমি জানি না।”

প্রসঙ্গত, বিজেপি শিবির মনে করছে, গত লোকসভা ভোটে তৃণমূলের কোমর ভেঙে দিয়ে তৃণমূলকে বড়সড় ধাক্কা দিতে পেরেছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি ঝড় তুলবেন বুঝতে পেরেই শাসক দল তৃণমূল তাঁকে আইনি জালে বন্দি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!