এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার তৃণমূল শাসিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা, তীব্র জল্পনা দলের অন্দরে

এবার তৃণমূল শাসিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা, তীব্র জল্পনা দলের অন্দরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টমুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর কড়া বার্তা দিয়েছেন দুর্নীতি নিয়ে। পাশাপাশি মানুষের পাশে থাকার কথা বলেছেন তিনি। আর তাঁর কথা অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় এবার দলীয় কর্মীরা দলের একাংশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করছে। ঠিক যেমন ঘটেছে হুগলি জেলার পুড়শুড়ার চিলাডাঙিতে। জানা যাচ্ছে, সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে এবার তৃণমূল সদস্যরা। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক জল্পনা। প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, পুড়শুড়া চিলাডাঙি পঞ্চায়েতে 18 জন তৃণমূল সদস্য রয়েছে এবং একজন বিজেপির। এক্ষেত্রে 14 জন তৃণমূল সদস্যেরই অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ পঞ্চায়েত প্রধান লিপিকা মাইতি দুর্নীতি চালাচ্ছেন।

মানুষের জন্য কাজ করছেননা তিনি। নিজের মতন পঞ্চায়েত পরিচালনা করছেন, কোনো বিষয় নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করছেননা। আর তাই তড়িঘড়ি এবার 14 জন তৃণমূল সদস্য পঞ্চায়েত প্রধান লিপিকা মাইতির বিরুদ্ধে স্থানীয় বিডিও অফিসে গিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব জমা করলেন। এই চৌদ্দজন তৃণমূল সদস্য একযোগে অভিযোগ জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত প্রধান লিপিকা মাইতি পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলের 8 লাখ টাকার কোন হিসেব দিতে পারছেননা। পাশাপাশি স্বজনপোষণ করছেন তিনি। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজ তাঁর পরিবারের লোকজনদের দিয়ে তিনি করাচ্ছেন। পাশাপাশি পঞ্চায়েতে প্রধান এবং অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তিনি চরম দুর্ব্যবহার করছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে পঞ্চায়েত প্রধান লিপিকা মাইতি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাশাপাশি তিনি পাল্টা পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ এনেছেন। অন্যদিকে চিলাডাঙি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রেণুকা বারিক ব্যাপক অভিযোগ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। তিনি জানান, পঞ্চায়েত প্রধান লিপিকা মাইতি কারো মতামতকে গুরুত্ব দেননা। পাশাপাশি কেউ কিছু বলতে গেলে তাঁর জাতপাত নিয়ে তিনি কটু কথা বলেন। একইসাথে উপ-প্রধানেরও দাবি পঞ্চায়েত প্রধান লিপিকা মাইতি দুর্নীতি করেছেন পঞ্চায়েতে। অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব জানিয়েছেন, বিডিও অফিসে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়া মানেই অনাস্থা হয়না।

আগে কেন অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে, সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হবে। তবে এই নিয়ে যে বিতর্ক বাড়ছে, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। এই ঘটনার পেছনে অন্তর্দ্বন্দ্ব আছে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। তবে দুর্নীতির ক্ষেত্রে যে কাউকে রেয়াত করা হবেনা সেই ইঙ্গিত কিন্তু আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবার দেখার, পঞ্চায়েত প্রধান লিপিকা মাইতির বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা, আপাতত অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হয় সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!