তিন ধাক্কায় বেসামাল গেরুয়া শিবির কি ১৯-এর ‘মহাচমক’ থেকে পিছু হঠছে? জল্পনা চরমে কলকাতা জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য January 17, 2019 আগামী ১৯ শে জানুয়ারী কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে মহাসমাবেশ করতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সমাবেশে রেকর্ড জমায়েতের পাশাপাশি – কেন্দ্র থেকে বিজেপি সরকারকে হঠাতে মরিয়া একঝাঁক আঞ্চলিক ও জাতীয় দলের শীর্ষনেতারাও হাজির থাকতে চলেছেন। তৃণমূল শিবিরের দাবি, এই সমাবেশ থেকেই ‘প্ৰথম বাঙালি প্রধানমন্ত্রী’ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে সিলমোহর পরে যাবে। কিন্তু, বাংলায় পরিবর্তনের পরিবর্তন করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির তৃণমূল কংগ্রেসের সেই ব্রিগেড সমাবেশকে মলিন করে দিতে সেদিনই এক মহাচমকের পরিকল্পনা করেছিল বলে জল্পনা। সূত্রের খবর, আগামী ১৯ শে জানুয়ারী একদিকে যখন ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা তাঁর দল বিজেপিকে তীব্র আক্রমণের রাস্তায় হাঁটবেন, ঠিক সেই সময়েই দিল্লিতে নয়-নয় করে অন্তত ১০ জন তৃণমূল কংগ্রেস হেভিওয়েট সাংসদ, বিধায়ক ও নেতাকে বিজেপিতে যোগদান করাবেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। কিন্তু, পরপর তিন মহা ধাক্কায় সেই মহাচমকের পরিকল্পনা আপাতত বিশ বাঁও জলে বলে তীব্র জল্পনা ছড়িয়েছে। কি সেই তিন ধাক্কা? প্রথমত, বিষ্ণুপুরের সাংসদ বিজেপিতে যোগ দিতেই তাঁর বিরুদ্ধে তাঁর নিকটাত্মীয়ের করা মামলা। দ্বিতীয়ত, রাজ্যে রথযাত্রার অনুমতি না মেলা। আর তৃতীয়ত, সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। ফলে, আপাতত ১৯-এর মহাচমক দেওয়া তো দূরের কথা, সবমিলিয়ে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে গেরুয়া শিবির বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজ্য বিজেপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতার কথায়, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যাঁরা আসতে চান, তাঁরা রীতিমত ‘মিথ্যা মামলার’ ভয়ে আতঙ্কিত। এতদিন সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই, কিন্তু যে মূহুর্তে তিনি বিজেপিতে এলেন – তখনই তাঁর নিকাত্মীয়কে দিয়ে তাঁর নামে পুলিশে রিপোর্ট করানো হল। ফলে, আগামীদিনেও যাঁরাই বিজেপিতে আসবেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও একই জিনিস করবে তৃণমূল। তাই, এই মুহূর্তে কেউই প্রকাশ্যে আসতে চাইছেন না। ওই নেতার কথায়, তৃণমূলের এমন কিছু সাংসদ আসতে চলেছেন যাঁরা ইতিমধ্যেই দু-দুবারের সাংসদ। ফলে, এবারে জিতলেই অনেকেই পূর্ণমন্ত্রী বা লোকসভার স্পিকার পর্যন্ত হতে পারেন। এমন এক সাংসদকে একথা ২০১৪ সালেই সুষমা স্বরাজ জানিয়েছিলেন। ফলে, ওই সাংসদরা কোন রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নন। এখন বিজেপিতে যোগ দিলে এমন মামলা সাজিয়ে দেবে – হয়ত লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারবে না। তাই সবুরে মেওয়া ফলে – এই স্ট্র্যাটেজিতেই এগোনো হচ্ছে। কিন্তু, এই দলবদল নিয়ে যে জল্পনা শুরু হয়েছিল, তা হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেলে ধাক্কা খাবে না গেরুয়া সমর্থকদের মনোবল? ওই নেতার কথায়, কখনো কখনো বড় ঝাঁপ দেওয়ার জন্য দু পা পিছিয়ে আসতে হয়। ধরে নিন – এটাও সেরকম, মুকুল রায় একটা কথা বারেবারেই বলেন – রাজনীতিতে সঠিক সময় ও সুযোগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রেও তাই হতে চলেছে, ১৯-এর পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত থাকছে, কিন্তু একেবারে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। তাছাড়া, যিনি এই নিয়ে সবথেকে বড় ভূমিকা নিতে চলেছিলেন সেই অমিত শাহ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে – তাই অনেক পরিকল্পনাই আপাতত স্থগিত থাকবে। আপনার মতামত জানান -