এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দিনেদিনে কি আরএসএসের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি, প্রবীণ সঙ্ঘ প্রচারকের বক্তব্যে বাড়ছে জল্পনা

দিনেদিনে কি আরএসএসের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি, প্রবীণ সঙ্ঘ প্রচারকের বক্তব্যে বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   বিজেপির উপর সংঘ পরিবারের একটা বড়সড় নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্য বিজেপিতে অবস্থার বেশ কিছুটা বদল ঘটেছে। যার ফলে, রাজ্য বিজেপি মূলত তিনটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একটি শিবিরে আছেন সরাসরি সংঘ থেকে বিজেপিতে আসা একাধিক নেতৃত্ব, অপর শিবিরে রয়েছেন যারা সরাসরি রাজনীতিতে এসেছেন, কিন্তু ধীরে ধীরে সংঘ পরিবারের সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন, কিন্তু অপর একটি শিবির সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে সম্প্রতি অন্যান্য দল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছেন,তাঁরা আছেন। সঙ্ঘের সঙ্গে তাঁরা তেমন পরিচিত নন। সঙ্ঘের বেশ কিছু রীতিনীতিও পালন করছেন না তাঁরা। সঙ্ঘের অভিযোগ, বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। তাই এ বিষয় নিয়ে তাঁদের কোনো কিছুই বলা হচ্ছে না। যা থেকে অনেকেই মনে করছেন যে, রাজ্য বিজেপির ওপর থেকে সঙ্ঘের নিয়ন্ত্রণে ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে পড়ছে।

প্রসঙ্গত, আরএসএস এর পক্ষ থেকে বিশেষ কোনো উৎসব পালন করা হয় না। হাতে গোনা কয়েকটি উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। চৈত্র শুল্ক প্রতিপাদ তিথিতে বর্ষ প্রতিপদ পালন করা হয়। যে দিনটিকে হিন্দু নববর্ষ হিসেবে পালন করা হয়। এরপর জ্যৈষ্ঠ শুক্লা ত্রয়োদশী তিথিতে হিন্দু সাম্রাজ্য দিবস পালন করা হয়। গত ২৩ সে জুন ছিল হিন্দু সাম্রাজ্য দিবস। সেদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়াতে বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু দলের নবাগত শুভেন্দু অধিকারী, সৌমিত্র খাঁ, অর্জুন সিংকে একাজ করতে দেখা যায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার, গত ২১ সে জুন দলের প্রতিষ্ঠাতা হেডগেওয়ারের প্রয়াণদিবসে তারা টুইট করেছিলেন। আবার অনেকে বেশকিছু প্রাক্তন সঙ্ঘ চালকের জন্মদিন, মৃত্যুদিনে টুইট করেছিলেন। কিন্তু ব্যক্তি পূজার পক্ষপাতী নয় আরএসএস। সেখানে আরএসএস-এর প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের জন্মদিন বা মৃত্যুদিন পালন করা হয় না কিন্তু এবার তাঁর মৃত্যু দিবসে টুইট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিংহ, সৌমিত্র খাঁ।

এ প্রসঙ্গে আরএসএস পন্থী এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন যে, সঙ্ঘ কোন দিনটি পালন করে, কোনটি করে না, তা তাঁরা জানেন না। ফলে সেসব দিন বাদ দিয়ে ডাক্তারজির মৃত্যুদিনে তাঁর ছবিসহ টুইট করেছেন তাঁরা, যা সঙ্গের নিয়মবিরুদ্ধ। অপর এক নেতা বলেছেন যে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজরে আসতে গিয়ে নিজেদের সঙ্ঘ অনুগামী রূপে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা।

এ প্রসঙ্গে আরএসএসের প্রবীণ প্রচারক বিজয় আঢ্য জানিয়েছেন যে, কোন দিন পালন করতে গেলে, আগে সংঘের আদর্শ বোঝা প্রয়োজন। সংঘ ব্যক্তিপূজায় বিশ্বাস করেনা। একারনেই সংঘের প্রতিষ্ঠাতার জন্মদিন পালন করা হয় না। সংঘের গুরু শুধু গৈরিক পতাকা। বর্ষ প্রতিপদ তিথি, হিন্দু সাম্রাজ্য দিবস, গুরু পূর্ণিমা, রক্ষাবন্ধন, বিজয়াদশমী, মকর সংক্রান্তি ছাড়া অন্য কিছু পালন করা হয় না।

বিজয় দশমীর দিনে অস্রপূজা, গুরুপূর্ণিমাতে গৈরিক ধ্বজ পূজা ছাড়া অন্য কোন পুজো করা হয় না। মকর সংক্রান্তির দিনেও কোন পূজা করা হয় না। সেদিন তিলের নাড়ু খেতে দেয়া হয়। তিল হল স্নেহ ভালবাসার প্রতীক, গুড় হলো সংগঠনের প্রতীক। হালকা তিল ও গুড়ের মিশ্রণে সঙ্ঘবদ্ধ ও শক্তিশালী হয়ে ওঠা যায়।

সম্প্রতি, এক ভার্চুয়াল বৈঠকের সময় চেয়ারে বসে সংঘের প্রার্থনার আবৃত্তি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর পরিপ্রেক্ষিতেও বক্তব্য রেখেছেন বিজয় আঢ্য। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সংঘের শাখা বা কোন অনুষ্ঠানের শুরুতে ও শেষে প্রার্থনা করা হয়। একমাত্র গৈরিক পতাকার সামনে নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে বুকে হাত রেখে প্রার্থনায় অংশ নেওয়া যায়। স্বয়ংসেবকরা নিয়মিত নির্দিষ্ট কিছু রীতি পালন করেন, এটাই সংঘের শৃঙ্খলা।

একজন মানুষের আচার-ব্যবহার দেখলে বোঝা যায় যে, তিনি সংঘকে কতটা অনুভব করতে পেরেছেন। রাজনীতিতে এসে নিজেকে সংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রমাণের চেষ্টা করছেন অনেকে। কিন্তু তাঁদের আচার-আচরণ তা বলছে না। তবে, তার বিরোধিতা করা তাঁদের কাজ নয়। কোনটা সত্য আর কোনটা সত্য নয়? যারা সংঘকে জানেন, তাঁরা একবার দেখলেই তা বুঝতে পারবেন। তাঁর এই বক্তব্য থেকে অনেকেই মনে করছেন যে, রাজ্য বিজেপিতে সংঘের প্রভাব ক্রমশ হ্রাস পেতে শুরু করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!