এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > অনুব্রত-গড়ে বিজেপি নয় তৃণমূলের ঘুম ওড়াবে কংগ্রেস? অধীরের মহাচালের পর রাজ্যজুড়ে জল্পনা চরমে

অনুব্রত-গড়ে বিজেপি নয় তৃণমূলের ঘুম ওড়াবে কংগ্রেস? অধীরের মহাচালের পর রাজ্যজুড়ে জল্পনা চরমে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই কড়া নাড়ছে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন। যে নির্বাচনে জোর লড়াই হতে চলেছে তৃণমূল ও বিজেপির। শাসক দল তৃণমূল ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপির দাপটে রাজ্যে অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে বাম ও কংগ্রেস। তবে, তারা জোট বদ্ধ হয়ে নির্বাচনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবার, অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রূপে দ্বিতীয়বার আনার পর কংগ্রেসে দলে হারানো উদ্যম আবার ফিরে এসেছে।

সম্প্রতি বীরভূম জেলায় কংগ্রেসের নতুন জেলা সভাপতি করা হলো এই জেলার হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিল্টন রশিদকে। অপসারিত করা হলো পূর্বের পূর্বের জেলা সভাপতি সঞ্জয় অধিকারীকে। গতকাল সদ্য-প্রাক্তন হয়ে যাওয়া কংগ্রেস জেলা সভাপতি সঞ্জয় অধিকারী জানালেন, ‘‘ এটা দলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। দল যা ভাল বুঝেছে, করেছে। দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে ছিলাম, থাকবও। ’’

প্রসঙ্গত বীরভূম জেলা হল তৃণমূলের একটি শক্তিশালী গড়, তবে সম্প্রতি এই জেলায় শক্তিশালী হচ্ছে বিজেপি। তৃণমূল ও বিজেপির দাপটে কংগ্রেস অনেকটাই ম্রিয়মান হয়ে পড়েছে জেলাতে। সম্প্রতি বামের সঙ্গে জোট করে কিছু যৌথ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু কংগ্রেসের নিজস্ব কর্মসূচি দীর্ঘদিন ধরেই পালিত হয়নি।

এই পরিস্থিতি ৪৫ বছর বয়সের তরুণ উৎসাহী কংগ্রেস বিধায়ককে জেলা কংগ্রেস সভাপতি রূপে মনোনীত করা হলো। তাঁকে পেয়ে উৎসাহিত জেলা কংগ্রেস কর্মীরা। হাঁসনের কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ দীর্ঘ সময় ধরে কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি ছিলেন। গতকাল নতুন জেলা সভাপতির সঙ্গে সঙ্গে জেলার ৪ জন কার্যকরী সভাপতির নামও ঘোষণা করা হল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ জানালেন, ” কংগ্রেস নেতৃত্ব যে দায়িত্ব আমার উপরে দিয়েছেন, সেটা সম্মানের সঙ্গে পালন করাটাই আমার কাছে চ্যালেঞ্জ।’’এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানালেন যে, বীরভূম জেলায় কংগ্রেসকে সতেজ করে তুলতে হলে সমস্ত কংগ্রেস সদস্যদের মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে, মানুষের হয়ে কাজ করতে হবে। তবেই মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যাবে।

কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ রামপুরহাট কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হয়ে প্রথম রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন। গত ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে হাঁসন কেন্দ্রে তিনি জয়লাভ করেছিলেন। তৃণমূলের প্রবল ঝড় থাকা সত্ত্বেও তিনি পরাস্ত করতে পেরেছিলেন দীর্ঘদিনের তৃণমূল বিধায়ক অসিত মালকে।যাঁকে তিনি ১৬ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেছিলেন।

এ কারণেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাকে বীরভূম জেলা কংগ্রেস সভাপতি করা হলো। কংগ্রেস কর্মীদের জানালেন যে, দলের খুব কঠিন সময়ে তাঁকে জেলা সভাপতি পদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দলকে চাঙ্গা করে নির্বাচনে জয়লাভের লক্ষ্যে তিনি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন, আশা দলের কর্মীদের। কারণ, গত, ২০১৬ সালে প্রতিকূলতার মধ্যেও দলকে সাফল্যের মুখ দেখিয়ে ছিলেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!