এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যের অশান্ত পরিবেশ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীকে উষ্মাপ্রকাশ মোদীর, মানতে নারাজ মন্ত্রী স্বয়ং!

রাজ্যের অশান্ত পরিবেশ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীকে উষ্মাপ্রকাশ মোদীর, মানতে নারাজ মন্ত্রী স্বয়ং!

 

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে যখন বাংলা জ্বলছে, ঠিক তখনই শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক তরজা চরম আকার ধারন করতে শুরু করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কোথাও স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, কোথাও রাস্তা অবরোধ, আবার কোথাও যখন টায়ার পোরানো চলছে, ঠিক তখনই কেন্দ্র বনাম রাজ্যের দ্বৈরথ দেখে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অবস্থাকে শান্ত করতে দুই সরকারের উচিত এগিয়ে আসা।

কিন্তু তা না করে একে-অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপের পালা চলতে শুরু করলে, অবস্থা যে ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করবে, সেই ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই। বস্তুত, গত শুক্রবার থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত জ্বলতে শুরু করেছে বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভে। সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় মত পোষণ করলেও, এই বিক্ষোভ যাতে না হয়, তার জন্য বারেবারেই আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু তা সত্ত্বেও সেই বিক্ষোভ কমাতে অপারগ রাজ্য প্রশাসন। বিভিন্ন জেলায় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থেকে শুরু করে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উস্কানিমূলক মন্তব্য না করবার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা।

আর এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার আগে রবিবার অন্ডাল বিমানবন্দরে নেমে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানা যায়, রবিবার বেলা একটা কুড়ি মিনিট নাগাদ অন্ডাল বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেখানেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল তাঁকে স্বাগত জানান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। আর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, রাজ্যের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর বিজেপির তরফে এই দাবি করে বোঝানো হচ্ছে যে, বাংলা এই বিক্ষোভ দমাতে অপারগ। তাই প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

তবে বিজেপি এই দাবি করে রাজ্য সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করলেও, প্রধানমন্ত্রী এরকম কোনো মন্তব্য করেননি বলে পাল্টা জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। ফলে রাজ্যের এই বিশৃংখল পরিস্থিতিতে শাসক বনাম বিরোধীর এই তরজা আরও উত্তাপ ছড়াতে শুরু করল বলে মনে করছে একাংশ।

এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে সব কথা বলা হয়েছে। তার আত্মসহায়ককে তথ্যপ্রমাণও তুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারের মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন, কেয়া হো রাহা হে বেঙ্গল মে।”

এদিকে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী এই মন্তব্য করে রাজ্যের শাসক দলকে ব্যাকফুটে ফেলতে চাইছে বলে পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, বিজেপি সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা বলছে। প্রধানমন্ত্রী এরকম কোনো কথা তাদেরকে বলেননি। এদিন এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে যাওয়া রাজ্যের মন্ত্রীসভার সদস্য মলয় ঘটক বলেন, “এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার সঙ্গে রাজ্য সরকারের আরও তিন উচ্চপদস্থ অফিসার ছিলেন। এর থেকেই বোঝা যায়, রাজ্য বিজেপির নেতারা কতটা মিথ্যেবাদী।”

তবে তৃণমূল হোক বা বিজেপি, যে শিবির থেকে যে দাবিই করা হোক না কেন, বাস্তব ঘটনা কি, তা সম্পর্কে অবহিত নন কেউই। তবে যদি বিজেপির কথা সত্যি হয় এবং প্রধানমন্ত্রী যদি রাজ্যের মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে “বাংলায় কি হচ্ছে!” একথা বলেন, তাহলে বাংলার শাসকের পক্ষে তা যে অত্যন্ত অস্বস্তিকর, সেই ব্যাপারে সন্দেহ নেই কারোরই। তবে বিজেপির এই বক্তব্য যদি মিথ্যে হয়, তাহলে তা দমন করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখন কোনো বার্তা দেওয়া হয় কিনা! সেদিকে নজর থাকবে সকলের। সব মিলিয়ে রাজ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের মুহূর্তে শাসক-বিরোধী তরজা চরমে উঠল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!