এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > CAA লাগু হতেই বেড়া টপকে বাংলাদেশ পালানোর হিড়িক! পোয়া বারো দালালদের!

CAA লাগু হতেই বেড়া টপকে বাংলাদেশ পালানোর হিড়িক! পোয়া বারো দালালদের!


সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি নিয়ে যখন প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে, ঠিক তখনই খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে সীমান্তের পাচারকারীদের মধ্যে। বস্তুত, রাজ্যের উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ এবং বসিরহাটের বাংলাদেশ সীমান্তে এখনও সম্পূর্ণভাবে কাঁটাতারের বেড়া পড়েনি। যার ফলে সীমান্তবর্তী জায়গা দিয়ে রমরমিয়ে চলছে পাচারের কাজ। ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব আইন পাস হয়ে যাওয়ার পর অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে চলে যাওয়ার হিড়িক দেখা দিতে শুরু করেছে।

অভিযোগ, এর ফলে মানুষের পাচারের দর প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।  সিন্ডিকেটের দুই প্রান্তের যোগাযোগ মোবাইলের মাধ্যমে সক্রিয় হচ্ছে। জানা যায়, সীমান্তবর্তী বসতির মধ্যে বাংলাদেশীদের অস্থায়ীভাবে রাখা হলে মধ্যরাত্রে কিংবা ভোর রাত্রিতে তাদের পারাপার করিয়ে দেওয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বর্তমানে সেই প্রবণতা চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একাংশ বলছেন, হাজার হাজার বাংলাদেশি ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করতে চলে এসেছিল। কিন্তু সংসদে নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পরে তারা এখন বাংলাদেশে ফিরে যেতে চাইছে। ফলে সীমান্তবর্তী এলাকায় এসে রাত্রিকালীন আস্তানা গেড়ে পরিস্থিতি বুঝে তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে পাচারকারীদের দল।

সূত্রের খবর, বাগদা, বনগাঁ এবং বসিরহাট মহকুমায় এই কাজ এখন চরম পরিমানে চলছে। যেখানে দালালরা একরাতে দশজনকে পার করলেই নগদ 50 হাজার টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়ে নিচ্ছেন। জানা গেছে, কিছুদিন আগে পর্যন্ত মাথাপিছু পারাপারের দড় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা থাকলেও, এখন তার অঙ্ক অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাহলে কি সীমান্তে ঠিকমত নজরদারি চালানো হচ্ছে না?

আর তার কারণেই কি এই পাচারকারী দলের সক্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে? এদিন এই প্রসঙ্গে বনগাঁ এবং বসিরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে এই ব্যাপারে বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্তে কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে। আর সেই কারণেই প্রতিদিন অবৈধভাবে দেশে ঢোকা বা বের হতে চাওয়া বাংলাদেশিদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে যে যাই বলুন না কেন, যেভাবে নাগরিকত্ব আইন পাস হয়ে যাওয়ার পর সীমান্তে পাচারকারীদের সক্রিয়তা বাড়ছে, তাতে এই প্রবণতা বন্ধ করতে সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থাতে খামতি দেখছেন অনেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!