এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পার্থকে নিয়ে নড়া বিড়ম্বনায় মমতা, হেভিওয়েটকে ইডির তলব! সোচ্চার বিজেপি!

পার্থকে নিয়ে নড়া বিড়ম্বনায় মমতা, হেভিওয়েটকে ইডির তলব! সোচ্চার বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-অনেকদিন হয়ে গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে রয়েছেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত ঘনিষ্ঠ একজন ব্যক্তি, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জেলে যাওয়ার পর থেকেই এই রাজ্যের সরকারকে বিদ্ধ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। পার্থ বাবু আপাদমস্তক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, কিন্তু তৃণমূলের শীর্ষ ব্যক্তি এই দুর্নীতির বিষয়ে কিছুই জানেন না, এটা মানতে নারাজ বিরোধী শিবির। তবে যত সময় যাচ্ছে, ততই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের জালকে গুটিয়ে এনে মূল মাথাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা আবার যেন একটা বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই রাজ্যের শাসকদলের কাছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর তার কাছ থেকে জেরা করে বা বিভিন্ন সূত্র ধরে অনেক হেভিওয়েটকে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এবার আরও এক বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ইডি। যেখানে আগামীকাল আরও এক হেভিওয়েটকে তলব করেছে তারা আর এই হেভিওয়েট এমন একজন ব্যক্তি, যিনি তৃণমূলের শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিদের যেমন অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, ঠিক তেমনই জেলে যাওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তার বেশ ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এবং সম্পর্ক ছিল বলেই খবর।

স্বাভাবিক ভাবেই সিবিআইয়ের পর এবার সেই হেভিওয়েটকে ইডির তলব নিঃসন্দেহে একটা দিকে ইঙ্গিত করছে যে, এবার হয়ত আরও এক রাঘববোয়াল জালে ধরা পড়তে চলেছে। মূল মাথাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে তাদের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পথে এবার এগিয়ে যেতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু কোন হেভিওয়েট আবার ইডির তলবের মুখে পড়লেন?প্রসঙ্গত, যাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তার নাম বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। যারা তৃণমূল করেন, তারা হয়তো সকলেই এই ভদ্রলোককে চেনেন। কারণ বর্তমানে জেলে থাকা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন এই বাপ্পাদিত্যবাবু। শুধু তাই নয়, তার রাজনৈতিক পরিচয় যদি খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, তাহলে তিনি শাসকদলের অনেক বড় বড় হেভিওয়েটের ঘনিষ্ঠ। এছাড়াও কলকাতা পৌরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলরের পাশাপাশি শাসকদলের মুখ্য সচেতক পদেও রয়েছেন। মূলত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাকে এবার তলব করেছে ইডি। এর আগে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকেও তাকে তলব করা হয়েছিল। তিনি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। আর এবার ইডি যখন তাকে তলব করেছে, তখন বুঝে নিতে হবে যে, এই বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে নিয়ে বড় কোনো তথ্য রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। স্বাভাবিকভাবেই দুইয়ে দুইয়ে চার হওয়া এবং বাপ্পাদিত্যবাবুর তলবের পর তৃণমূলের ভয় আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, তৃণমূল আপাদমস্তক দুর্নীতিতে জর্জরিত। একটি রাজনৈতিক দল এদের কেউ সৎ নয়। প্রত্যেকেই টাকার বিনিময় চাকরি বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কাউন্সিলর থেকে শুরু করে হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী, সকলকেই ডাকছে। সময় আসছে। একটা বড় সংখ্যা জেলের ভেতরে ঢুকবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।পর্যবেক্ষকদের মতে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে দুর্নীতির প্রধান মাথা ছিলেন, সেটা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জমা দেওয়ার রিপোর্টে তারা বারবার আদালতের কাছে এই বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। তবে বিরোধীদের বক্তব্য অনুযায়ী শুধু পার্থবাবু নয়, আরও অনেকে এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।

তাই মূল মাথাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। তাই সেই মাথাকে ধরতে হলে আরও বেশ কিছু জনকে জেরা করা প্রয়োজন। তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন। আর সেটা করতে গিয়ে এবার বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের মত তৃণমূল কাউন্সিলরকে তলব করেছে ইডি। স্বাভাবিক ভাবেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল কাউন্সিলর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হলে কার সম্পর্কে যে কি তথ্য বেরোবে, আর তার ভিত্তিতে যে কোথায় গিয়ে তদন্ত দাঁড়াবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলাপ, আলোচনা এবং চর্চা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে শাসকদলের মধ্যে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!