ফের মমতার দলের দাদাগিরি! বড় ইস্যুতে তৃণমূলের আপত্তি, ডোন্ট কেয়ার বিজেপির! জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য February 7, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সব জায়গায় বিরোধিতা করা এবং সব উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দেওয়া যেন অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে তৃনমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত গঠনমূলক কাজে তার দলকে দিয়ে তার দলের জনপ্রতিনিধিদেরকে দিয়ে বাধাদান করাতে সবসময় সচেষ্ট। আর কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যদি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তাহলে তো চোখ বন্ধ করে ডান, বাম কিছু না দেখেই তার বিরোধিতা করতে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে “এক দেশ এক ভোট” নিয়ে একটি আলোচনা রাখা হয়েছিল। প্রথমে কথা ছিল যে, সেই আলোচনায় যোগ দিতে দিল্লি যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি যাননি। তার বদলে তার দলের পক্ষ থেকে দুইজন সাংসদকে তিনি পাঠিয়েছেন। কিন্তু বৈঠকের পর তৃণমূলের দুই প্রতিনিধি যে কথা বললেন, তারপর অনেকেই বলছেন যে, অযথা বিরোধিতা করা যাদের উদ্দেশ্য, তারা এই রকমই বলবেন। তবে তৃণমূল বিরোধীতা করলেই যে এই সিদ্ধান্ত হবে না, তা নয়। কিন্তুু এদিনের বৈঠকে ঠিক কি হয়েছে? সূত্রের খবর, প্রত্যাশা মতই রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে এক দেশ এক ভোট নিয়ে একটি বৈঠক হয়। যেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। আর বৈঠকের পরেই তারা জানিয়ে দেন, বাইরে বেরিয়ে এসে যে, তারা এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নন। কারণ এত বড় দেশে একসাথে ভোট করা সম্ভব নয় বলে তারা মনে করেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তৃণমূলের মনে করাতে আদৌ কি কিছু যায় আসে? এমনিতেই বর্তমানে আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেস। যারা গঠনগত উন্নয়নমূলক কোনো কাজের সঙ্গে থাকে না। দেশে রাম মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে, আর সেই দিন পাল্টা সংহতি মিছিল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি দেশবাসীর এই প্রত্যাশা পূরণের সঙ্গে মোটেই খুশি নন। কারণ, তার ভোট প্রয়োজন, ক্ষমতা প্রয়োজন। আর সেসব করতে গিয়ে প্রতিমুহূর্তে মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যে চুরি করে করে তারা পশ্চিমবঙ্গকে শেষ করে দিয়েছে। আর দেশে যখন এক দেশ এক ভোট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তখন সেখানে গঠনমূলক মতামত না দিয়ে বিরোধীতা করে আরও একবার তৃণমূল নিজেরাই নিজেদেরকে সকলের সামনে অপ্রাসঙ্গিক করে তুললো বলেই মনে করছেন একাংশ। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূলের এই আপত্তিতে কারওর কিছু আসে যায় না। যারা আপাদমস্তক দুর্নীতিতে জড়িত, তারা দেশের উন্নতি চাইবে না, এটাই স্বাভাবিক। ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে প্রতিমুহূর্তে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এসব করে লাভের লাভ কি আদৌ কিছু হবে? কারণ যদি সেই “এক দেশ এক ভোট” এর জন্য যে কমিটি রয়েছে, সেই কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তৃণমূলের আপত্তি সেখানে নিটফল জিরো হয়ে যাবে। কারণ এই রাজনৈতিক দলকে সবাই কোম্পানি বলেই জানে। যারা পশ্চিমবঙ্গকে শেষ করে দিচ্ছে, তাদের মতামত নেওয়ার প্রয়োজন বা সেই মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, সব সময় কেন্দ্রের বিরোধীতা করতে গিয়ে নিজের দলের সর্বনাশ করার পাশাপাশি এই গোটা রাজ্যের সর্বনাশ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব জায়গায় নিজের দাদাগিরি ফলাতে গিয়ে চাপের মুখে পড়ে যাচ্ছেন তিনি। এরা হয়ত বুঝতে পারছেন না অথবা বুঝেও এখন কেন্দ্রের বিরোধিতা করতে হবে, সেইটাই প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু “এক দেশ এক ভোট” হলে কত খরচ বেঁচে যাবে, যেখানে বছর বছর কোনো না কোনো ভোট লেগেই থাকে, সেখানে একবারে সমস্ত নির্বাচন সম্পন্ন হলে লাভবান হবেন দেশের সাধারণ মানুষ। কেন এটা মেনে নিয়ে তাদের সম্মতি দিতে পারল না তৃণমূল কংগ্রেস! তাহলে কি তারা মানুষের ভালো চায় না! শুধুমাত্র মানুষের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলাই কি তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য? তবে তৃণমূলের এই ধরনের আপত্তিতে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -