এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > আসানসোলকে গেরুয়া-মুক্ত করতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে আসরে ফিরহাদ হাকিম

আসানসোলকে গেরুয়া-মুক্ত করতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে আসরে ফিরহাদ হাকিম

লোকসভা নির্বাচনে সারা রাজ্যের মধ্যে শাসকদলকে অনেকটাই টেক্কা দিয়ে সামনের সারিতে উঠে এসেছে বিজেপি। বিজেপির এই বাড়বাড়ন্তের ফলে নিজেদেরকে আরও জনমুখী করতে উদ্যোগী তৃণমূল। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত জায়গায় দলের খারাপ ফলাফল হয়েছে, সেই সমস্ত জায়গায় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে তৃণমূল নেতৃত্ব কাজে লাগাচ্ছে দলের হেভিওয়েট শীর্ষ নেতৃত্বদের।

আর এমনই এক বিজেপি প্রভাবিত জেলা পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে শুক্রবার দলের সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি ও নেতৃত্বের সঙ্গে প্রথমবারের জন্য বৈঠকে বসছেন তৃণমূলের নব নিযুক্ত জেলা পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম। বস্তুত, লোকসভা ভোটে বিজেপির কাছে বিপর্যয়ের পর দলকে চাঙ্গা করতেই ফিরাদ হাকিম জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে এই বৈঠক করতে চলেছেন। আর এই বৈঠকে তিনি ঠিক কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

জানা যায়, এদিন দুপুরে আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে আসানসোল ও দুর্গাপুর পুরসভার কাউন্সিলারদের উপস্থিতিতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসবেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী। তাঁর উচ্চপদস্থ আমলারাও সেখানে উপস্থিত থাকবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দলের মুখ পুড়েছে এই পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। এই জেলার দু’টি আসনের মধ্যে একটিতেও তৃনমূল জয়ের মুখ দেখেনি।

আর এই ভোটে বিপর্যয়ের পরই পদত্যাগ করেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি ভি শিবদাসন দাসু। যার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জেলার পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেন ফিরহাদ হাকিমকে। এরপর গঙ্গা দিয়ে বহু জল গড়িয়ে গিয়েছে। জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারির নেতৃত্বে তৃনমূল সেখানে প্রথমেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিলগ্নিকরণের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশিই শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক থেকে বিভিন্ন দলীয় বিধায়করা ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন, কার্ড বিলি ও দলীয় কর্মীদের বাড়িতে রাত্রিযাপন করছেন। কিন্তু নির্বাচনের পর এই প্রথম শুক্রবার দলীয় পর্যবেক্ষক জেলার সর্বস্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন। যারজন্য দলীয় স্তরে এই বৈঠকটির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে বলে দাবি একাংশের।

সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে ডাকা হয়েছে পঞ্চায়েত সদস্য, জেলা পরিষদ সদস্য, সভাধিপতি, এমএলএ সহ শাসক দলের সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধিদের। অঞ্চল সভাপতি থেকে শুরু করে ব্লক সভাপতি সহ স্থানীয় সব নেতৃত্বই বৈঠকে ডাক পেয়েছেন। তবে ব্লক সভাপতিরা দায়িত্বে থাকলেও বাকি সব কমিটিই এখানে ভাঙা হয়েছে বলে খবর। তাই সেই সমস্ত কমিটি গঠনে ফিরহাদ হাকিম ঠিক কী অবস্থান নেন, তার দিকেও তাকিয়ে অনেকে।

কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন, জেলায় যে সমস্ত একাধিক হেভিওয়েট নেতা রয়েছেন – তাঁদের ‘ইগোর’ লড়াইকে ঠিক কতটা সীমিত করতে পারেন পুরমন্ত্রী! তৃণমূলের দাবি, লোকসভা নির্বাচনে একাধিক জায়গায় তৃণমূলের নেতারাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। কিন্তু কিভাবে তিনি সবাইকে একছাতার তলায় নিয়ে আসবেন, সেটা দেখার রয়েছে। তবে রাজনৈতিক বৈঠকের পাশাপাশি ওইদিন প্রশাসনিক স্তরেও এদিন একটি বৈঠকে বসার কথা রয়েছে পুরমন্ত্রীর।

এদিন এই দলীয় বৈঠক প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, “দায়িত্ব পাওয়ার পর জেলার পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম প্রথমবার জেলার সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করবেন। অঞ্চল সভাপতি থেকে শুরু করে জেলা নেতৃত্ব সকলেই তাতে উপস্থিত থাকবেন।” তবে পুরমন্ত্রীর এই বৈঠককে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই।

তিনি বলেন, “মানুষ তৃণমূলের ধাপ্পাবাজি ধরে নিয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে বহু হেঁটেছিলেন। কোনও কাজ হয়েছে? ফিরহাদ হাকিম কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার বৈঠক করলে কোনও ফল পাবে না তৃণমূল।” সব মিলিয়ে দলের সংগঠন শক্তিশালী করতে এবার ময়দানে ফিরহাদ হাকিম। আর রাজনৈতিক মহল তাকিয়ে ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াতে ঠিক কোন পদক্ষেপ নেয় শাসকদল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!