ত্রিপুরায় তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজি টিম মেম্বারদের আটক করল বিজেপি সরকার, রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি July 26, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সর্বভারতীয় স্তরে সংগঠন বিস্তার করতে চলেছেন তা নিয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল তাঁদের সাংগঠনিক ক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরা। কার্যত ত্রিপুরায় বর্তমানে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের শাসন চলছে। তাই সেখানে তৃণমূলের সংগঠন তৈরিতে যে বাধা আসবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত থাকা যায়। অন্যদিকে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন তৈরির কাজ ত্বরান্বিত করতে বাংলার মতই হাওয়া বোঝার লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছে আইপ্যাক টিম। কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, আগরতলার বিভিন্ন হোটেলে আইপ্যাকের টিম মেম্বাররা রয়েছেন। পাশাপাশি সোমবার ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি আশীষ লাল সিংহ জানিয়েছেন, আগরতলা শহরের মঠ চৌমুহনীতে উডল্যান্ড পার্ক হোটেলে তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজি টিম আইপ্যাকের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করেছে। তাঁদের জেরা চালাচ্ছে বিপ্লব দেব সরকারের পুলিশ। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাপানউতোর। কার্যত জানা যাচ্ছে, দীর্ঘ সময় ধরে এই হোটেলে ডিএসপি র্যাংকের অফিসাররা ও আগরতলা শহর পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও উপস্থিত রয়েছেন। দীর্ঘসময় ধরে চলছে আইপ্যাক টিমের অন্তত 23 জন কর্মীকে জেরা। তবে কি নিয়ে এই জেরা চলছে তা এখনো বিশদে জানা যায়নি। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস সেখানকার বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নাম দিয়েছে। অন্যদিকে এই রাজ্য থেকে তৃণমূলের পক্ষে থেকে ত্রিপুরা বিজেপি সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে বার্তা দিয়েছে, বাংলার কোন তৃণমূল নেতা এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরায় পা রাখেনি, তার আগেই বিজেপি ভয় পেয়ে গেছে। আর সেকারণেই আইপ্যাকের টিম মেম্বারদের আটক করেছে তাঁরা। অন্যদিকে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জানিয়েছেন, এভাবে ভয় দেখিয়ে পুলিশ দিয়ে তৃণমূলের উত্থান ঠেকিয়ে রাখা যাবেনা। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই একুশের জুলাইয়ের শহীদ দিবস পালনের ক্ষেত্রে ও ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি বাধার মুখে পড়েছিল বলে জানা যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে ত্রিপুরা সরকারের এক আধিকারিকের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার বিভিন্ন হোটেলে কারা আসছেন কিংবা থাকছেন, তাদের টেস্ট রিপোর্ট দরকারি কাগজপত্র আছে কিনা তা প্রশাসন খতিয়ে দেখছে। এক্ষেত্রেও তাই চলছে। প্রসঙ্গত 2023 সালে রয়েছে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের হাত ধরেই তৃণমূল মাখা তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানে। কার্যত 2018 সালে ত্রিপুরায় বামেদের দীর্ঘদিনের শাসনব্যবস্থার অবসান করে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। অবশ্য বর্তমানে বিজেপি ত্রিপুরায় খুব একটা স্বস্তিতে রয়েছে, তা নয়। সেখানেও একাধিক ঝামেলা চলছে দলের অভ্যন্তরে। কার্যত বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ রাজ্যে তৃণমূল সরকারের শাসন ব্যবস্থা থাকা সত্বেও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির যথেষ্ট চাপে ফেলেছিল তৃণমূল শিবিরকে। আর ত্রিপুরাতে তো বিজেপি সরকার। সেক্ষেত্রে এত সহজে তাঁরা তৃণমূলকে জায়গা ছেড়ে দেবেনা তা বোঝাই যায়। আর সেই সূত্রে যদি আইপ্যাকের টিম মেম্বারদের আটক করা হয়, তাতে অবাক হবার কিছু নেই। আপনার মতামত জানান -