এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে! গ্রেপ্তার হলেন হেভিওয়েট নেতা! জোর শোরগোল !

ফের চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে! গ্রেপ্তার হলেন হেভিওয়েট নেতা! জোর শোরগোল !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যারা আইন ভাঙবে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। আইন আইনের পথে চলবে। বিরোধীদের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে একথা বললেও, রাজ্যের কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার বিভিন্ন জায়গায় তাকালেই দেখা যায়, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল সবথেকে বেশি আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছে। ফলে প্রশাসনিক প্রধানের পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের স্বার্থেও দলের কর্মীদের সবক শেখাতে পারছে না। যার ফলে তার দলে যেমন বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে, ঠিক তেমনই আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তেও দেখা যাচ্ছে। আর বিরোধীদের এই সমস্ত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা চাপে পড়েই দফায় দফায় মিটিং করে দলকে কড়া বার্তা দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।

কোনোভাবেই যে কোন্দল বরদাস্ত করা হবে না, তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রায় প্রতিদিনই খবরের কাগজে চোখ মেললে দেখা যায়, কোনো না কোনো জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনা। এবার দক্ষিণ 24 পরগনা বাসন্তীতে প্রকাশ্যে চলে এল তৃনমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। যে ঘটনায় গ্রেপ্তার হতে হল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধানকে। জানা গেছে, কিছুদিন আগেই মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় দক্ষিণ 24 পরগণা বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ 10 নম্বর এলাকার বাসিন্দা আমির আলী সরদারকে গুলি করে খুন করে বেশ কিছু দুষ্কৃতী। আর এরপরই এই ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়ে ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইউসুফ মোল্লার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

নিহত আমির আলি সরদারের পরিবারের তরফ থেকে সেই ইউসুফ আলি মোল্লার বিরুদ্ধে বাসন্তী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। আর সেই মতই মঙ্গলবার রাতে বাসন্তী থানার পুলিশ গোপন অভিযান চালিয়ে তৃণমূলের ইউসুফ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে। আর এই গোটা ঘটনায় ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে গত 22 শে জুন বাসন্তীর মধুখালীতে গফুর মোল্লা নামে একজন তৃনমূল কর্মী খুন হন। এদিন সেই ঘটনায় রাকেশ রোশন এবং জালাল সরদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গেছে, এই জালাল সরদার বাসন্তী তৃণমূলের যুব নেতা এবং পঞ্চায়েত সমিতির অন্যতম সদস্য। ফলে তৃণমূলের নেতা তৃনমূল কর্মীর খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ায় রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল বনাম তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাসন্তীতে নতুন কিছু নয়। কিন্তু তাকে কেন্দ্র করে খুন এবং প্রাণ চলে যাওয়ার ঘটনা সত্যি বেদনাদায়ক।

একই দলের মধ্যে দুই নেতার সংঘর্ষ এবং তাকে কেন্দ্র করে একজনের জীবন যদি চলে যায়, তাহলে তা কিসের রাজনীতি! কেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে, সেখানে নেতায়-নেতায় গন্ডগোলে প্রাণ চলে যাবে এক নেতার! পরিস্থিতি রে দিনকে দিন ঘোরালো হয়ে উঠছে, তা বুঝতে পারছেন তৃণমূল নেতারাও। আর তাই এবার দলীয় স্তরে সতর্কবার্তা জারি পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও অভিযুক্ত নেতাদের গ্রেফতার করে শাস্তির ধারা নামানো হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এতকিছুর পরেও আদৌ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমাতে কতটা সফলতা পায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!