এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > রাজ্যের দেড় লক্ষ কৃষকের জন্য একলপ্তে বড়সড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের – জানুন বিস্তারিত

রাজ্যের দেড় লক্ষ কৃষকের জন্য একলপ্তে বড়সড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের – জানুন বিস্তারিত


লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের কৃষকদের জন্যে বড়সড় ঘোষণা রাজ্য প্রশাসনের। এবার ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে দেড় লক্ষ চাষীদের ফসল বিমা যোজনার আওতায় আনতে উদ্যোগ নিতে দেখা গেল বীরভূম জেলা প্রশাসন ও কৃষি দপ্তরকে। দিন দুয়েক আগে বীরভূম জেলার ফসল বিমার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিমা কোম্পানির প্রতিনিধি, কৃষি দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট সব আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন জেলাশাসক মৌমিতা গোধরা।

সেখানেই ঋণ না নেওয়া চাষীদের বিমার আওতায় আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরই প্রশাসন এবং বিমাকারী সংস্থা প্রচার কর্মসূচিতে কোমর বেঁধে নেমেছে। ইতিমধ্যেই গ্রামে গ্রামে লিফলেট বিলির সঙ্গে মাইকে প্রচার চালানো শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি পঞ্চায়তে এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প করে কৃষকদের আবেদনপত্র গ্রহন করবে বিমাকারী সংস্থা। জেলার প্রতিটি কৃষিমেলায় এ নিয়ে প্রচার চালানো হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে।

প্রতি বছরই ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়াটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় রাজ্যের কৃষকদের কাছে। তাই বিমা করিয়ে দিয়ে কৃষকদের সমস্যা সমাধান করার উদ্যোগ প্রশাসনের। কিন্তু চলতি অর্থবর্ষে খারিপ শস্যের বিমার ক্ষেত্রে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে কৃষি দপ্তরের। চাষীদের সুবিধার্থে বিমা করা হলেও অনেকেই লোনের জন্যে এবার আবেদন করেননি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

যাঁদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোন রয়েছে, তাঁরা নিয়ম অনুযায়ী বিমার আওতায় চলে আসবেন। কিন্তু, যাঁরা লোন নেননি, তাঁদের অবশ্যই আবেদন করতে হবে। জেলার ৩ লক্ষ ১১ হাজারের বেশি চাষি রয়েছেন। এঁদের মধ্যে প্রায় দেড় লক্ষ চাষী এই লোন নেননি বলেই খবর রয়েছে। এই সংশ্লিষ্ট চাষীদের বিমায় আওতায় আনতে তৎপর প্রশাসন।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার এই বীমা চালু করলেও আগে কৃষকদের প্রিমিয়ামের একটা অংশ দিতে হত। কৃষকদের প্রিমিয়ামের অংশটাই রাজ্য সরকার বহন করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে হেক্টর পিছু বোরো ধানের ক্ষেত্রে ৬৩ হাজার ৭৫০ টাকা, গমের জন্য ৪১ হাজার ২৫০ টাকা ও আলুর ক্ষেত্রে এক লক্ষ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা পাওয়া যাবে বলে জানান গেছে।

এছাড়াও সরষে, মুসুর, ছোলা, তিল, মুগ ও আখের উপর বিমা করা যাবে। এই ফসল বিমার জন্য কোনও টাকা না লাগলেও আখ ও আলুর ক্ষেত্রে প্রিমিয়ামের ৪.৮৫% টাকা চাষিদের দিতে হবে। অতিবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এই বিমা কার্যকর হবে বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে, কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাংলা ফসল বিমা যোজনায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রতিটি কৃষকদের সহায়তা করতেই এই বিমা চালু করেছেন।

আশিসবাবু আরও জানান, তাই রাজ্যে প্রতিটি কৃষককে এই বিমার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। একই বক্তব্য জেলাশাসক মৌমিতা গোদারারও। রাজ্যের প্রতিটি চাষী এই বিমার আওতায় এলে সকলে উপকৃত হবেন বলেই বক্তব্যে জানালেন তিনি। পঞ্চায়েত এবং কৃষিদপ্তর এ ব্যাপারে সমস্তরকম সাহায্য করবে বলেও আশ্বাস দিলেন তিনি। কৃষকদের সমস্তরকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিলেন উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) সমীর ঘোষও। তবে, বিরোধীরা একে লোকসভার আগে ‘চমক’ বলে কটাক্ষ করছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!