এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তৃণমূলের ডাকা ব্রিগেডে বামেরা না থাকায় ‘দ্বিচারিতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়

তৃণমূলের ডাকা ব্রিগেডে বামেরা না থাকায় ‘দ্বিচারিতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়


দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল যে, জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদি বিরোধী সমস্ত দলকে এককাট্টা করে 19 জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিলেও সেখানে কি উপস্থিত থাকবে সেই তৃণমূলেরই প্রবল প্রতিপক্ষ রাজ্যের বাম নেতারা?

অনেকে বলছেন, এ আবার হয় নাকি! একাংশের বক্তব্য, রাজনীতিতে অহিনুকূল সম্পর্ক বলে কিছু নেই। এক সময় কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী এবং আমার আদমির অরবিন্দ কেজরিওয়াল এক মঞ্চে একসাথে থাকতে রাজি ছিলেন না। এমনকি বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে এই দুই নেতাকে বারবার এক মঞ্চে হাজির করানোর চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়।

কিন্তু অবশেষে গত শুক্রবার দিল্লিতে কৃষক সমাবেশে সেই রাহুল গান্ধী এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালই পাশাপাশি থেকে 2019 এ কেন্দ্রের মসনদ থেকে বিজেপিকে সরানোর শপথ নিলেন। আর এরপর থেকেই জল্পনা ছড়িয়েছে যে, তাহলে কি বাংলাতেও এই মোদিকে সরাতে গাঁটছড়া বাধতে চলেছে তৃণমূল এবং সিপিএম?

কেননা গত শুক্রবার দিল্লিতে কৃষক সমাবেশে সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরির মতো নেতারা যেমন উপস্থিত ছিলেন, তেমনই উপস্থিত ছিলেন তৃনমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীও। আর সেখানে রাজ্যের কৃষকদের উন্নতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ঠিক কি কি কাজ করেছে তার বিস্তারিত তুলে ধরেন দীনেশ ত্রিবেদী।

আর রাজ্যে যে তৃণমূলের বিরোধীতা করতে কার্যত সবসময় ব্যস্ত থাকে সিপিএম সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি তৃনমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর মুখ থেকে রাজ্যের শাসকদলের প্রশংসাই শুনে গেলেন। আর ইয়েচুরির এই মৌনব্রতর মধ্যে রাজ্যের তৃণমূলের প্রতি যে তাদের সমর্থন রয়েছে তা ভেবে নিয়েছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

কিন্তু গত কাল দিল্লিতে আরএসপির পার্টি কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেই রাজ্যে বিজেপিকে সরাতে তৃণমূলের সঙ্গে গাঁটছড়া আদৌ বাধা হবে কিনা সে ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নেন বাম নেতারা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য পল্লব সেনগুপ্ত, আরএসপির মনোজ ভট্টাচার্য, ফরোয়ার্ড ব্লকের হাফিজ আলম সইরানি সহ অন্যান্যরা।

এদিন তারা প্রত্যেকেই রাজ্যের তৃনমূল ও কেন্দ্রের বিজেপিকে কার্যত এক আসনেই বসিয়ে তাদের বিরোধিতা করেন। তারা প্রত্যেকেই বলেন, মোদির বিরুদ্ধে গলা চড়ালেও আদবানি, বাজপেয়ী, অরুণ জেটলি, রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে যারা প্রশংসা করে তাদের কোন পার্থক্য নেই।

প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতা করে রাজ্যে বিজেপির সাথে টক্কর দিয়ে রামনবমী হনুমান জয়ন্তী এবং রথযাত্রার নামে ভোট যাত্রায় সামিল হওয়ায় তৃণমূলকে তাদের না পছন্দ বলেও এদিন ব্যাখ্যা করেন এই বাম নেতারা। আর সিপিএম নেতাদের এহেন মন্তব্যে এদিন তাদের তীব্র কটাক্ষ পারেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

গতকাল তিনি বলেন, “সিপিএম তথা বাম দলগুলোর রাজনৈতিক দ্বিচারিতা এখানেই ধরা পড়ে। বেঙ্গালুরু বা অন্যান্য জায়গায় তৃণমূলের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করতে ওদের আপত্তি না থাকলেও শুধু এই রাজ্যেই ওদের আপত্তি রয়েছে। দেশে বিজেপি বিরোধিতার একমাত্র মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ওরা মানতেই চাইছে না যে, দেশের বিপদের সময় সকলকে প্রয়োজন। তাহলে তো আমরাও বলতে পারি যে, ওরা পরোক্ষে এইভাবে বাংলায় বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে চাইছে।”

রাজনৈতিক মহলের মতে, বর্তমানে বাংলা কথা জাতীয় রাজনীতিতে এক দোদুল্যমান পরিস্থিতি চলছে। তাই মোদি বিরোধীতায় বামেরা তৃণমূলের দিকে যাবে, নাকি পৃথক ভাবে নিজেরাই লড়াই দেবে তা নিয়ে এখনও ধন্দে রয়েছে সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!