প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা নিয়ে সকলের প্রধান চিন্তার কারণ, এর কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। আর যে রোগের ওষুধ আবিষ্কার হয় না, সেই রোগ নিয়ে চিন্তা হওয়াটাই স্বাভাবিক। যার ফলে দিনকে দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা সকল। বৈজ্ঞানিক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ প্রত্যেকে চেষ্টা করছেন, করোনা ভাইরাসকে আটকাতে প্রতিষেধক বের করার। আর এরই মাঝে হঠাৎ করেই পতঞ্জলির পক্ষ থেকে রামদেব বাবা প্রতিষেধক বের করে দেন। যেখানে গতকাল করোনিল এবং স্বশরী নামে দুটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ বাজারে আনে পতঞ্জলি।

তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এর ফলে করোনা রোগ অনেকটাই সেরে যাবে। এমনকি এই ওষুধের বিজ্ঞাপন ঢালাও ভাবে প্রচার করে যোগগুরু রামদেবের এই সংস্থা। আর নানা মহলে পতঞ্জলির তরফ থেকে এই রকম করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কার করার পরেই আশার আলো তৈরি হয়। সত্যিই কি তাহলে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালো পতঞ্জলি! তা নিয়ে যখন নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে, ঠিক তখনই পতঞ্জলির এই ওষুধ নিয়ে বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার।

সূত্রের খবর, কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রকের পাকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পতঞ্জলির তরফ থেকে করোনা প্রতিষেধক হিসেবে যে ওষুধ বাজারে আনা হয়েছে, তা নিয়ে এখন কোনো বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না। ওষুধ পরীক্ষা হওয়ার পর এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর এর ফলে যোগগুরু রামদেব এবং তার সংস্থা পতঞ্জলি যে অনেকটাই চাপে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক বলেন, “এটা খুবই ভালো বিষয় যে, যোগগুরু দেশের জন্য ওষুধ তৈরি করেছেন। আইন অনুসারে আগে আয়ুষ মন্ত্রকের কাছে ওষুধ পাঠাতে হবে। ওরা রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে বলে শুনলাম। রিপোর্ট দেখে তবেই অনুমতি দেওয়া হবে। সকলেই ওষুধ তৈরি করতে পারেন। যারা ওষুধ তৈরি করতে চান, তাদের আয়ুষ মন্ত্রকের নজরদারির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। ওই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে না গেলে কেউ নিজের ওষুধের বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না।”

অর্থাৎ এক্ষেত্রে সরকারি নিয়মকে উপেক্ষা করে যে কেউ কোনো কিছু করতে পারবে না, তা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, যোগগুরু রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলির পক্ষ থেকে করোনার যে ওষুধ বাজারে আনা হয়েছে, তা কতটা গ্রহণযোগ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার এই ওষুধ বাজারে ছাড়ার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেয় কিনা! যার দিকে নজর গোটা দেশবাসীর।