এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > এক আসনে ৬ হেভিওয়েট প্রার্থী, ‘গোঁজের’ চাপে দিশেহারা তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ত্ব

এক আসনে ৬ হেভিওয়েট প্রার্থী, ‘গোঁজের’ চাপে দিশেহারা তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ত্ব

একদিকে যেমন পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দিতে পড়েনি বলে খুম উড়েছে বিরোধীদের যদিও অভিযোগ শাসকদলের সন্ত্রাসের দিকে। অন্যদিকে তেমনই প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশি মনোনয়ন জমা পড়ায় চরম অস্বস্তিতে শাসকদল। ফলে স্বভাবতই চাপের মুখে পড়ছে শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব সহ রাজ্য নেতৃত্ব।আর এবার এই নিয়েই অবাক কান্ড ঘটলো পুরুলিয়া জেলা পরিষদের একটি আসনে। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের পুরুলিয়া দু’নম্বর ব্লকের ২১ নম্বর আসনে শাসক দলের ছয় জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন। এই ছয় জন প্রার্থে একেবারে সাধারণ প্রার্থী নয় প্রত্যেকেরই নির্বাচনে জয়লাভের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন দু’জন কর্মাধ্যক্ষ, একজন জেলা সম্পাদক, আরেকজন দলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি, আর বাকি দু’জনের মধ্যে একজন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং অপরজন সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ। এই ঘটনায় কার্যতই তৃণমূল কংগ্রেস দলের জেলা নেতৃত্বের কপালে ভাঁজ দেখা দিয়েছে। এদিকে দলীয় সূত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছে দল পুরুলিয়া জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ হলধর মাহাতোকে প্রথমে এই আসনে মনোনীত করে। তিনি গত পঞ্চায়েত ভোটে ২০ নম্বর আসন থেকে ভোটে লড়ে কর্মাধ্যক্ষ পদটি পান। কিন্তু এবার ২০ নম্বর আসনটি তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। তাই একপ্রাকার বাধ্য হয়েই দল তাঁকে অন্য আসনে মনোনীত করে। অন্যদিকে এই ২১ নং আসন টি থেকে গত নির্বাচনে পুষ্প বাউড়ি জয়লাভ করেন। জয়লাভের পরে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হন। একই আসনে তিনি এবারে ও মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এছাড়াও দলের শ্রমিক সংগঠন তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রফুল্ল কুমার মাহাতো এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক। পুরুলিয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি আনন্দ রাজোয়াড় ও ওই সমিতির বিদায়ী শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সমীরণ মুখোপাধ্যায় এই দুজন নেতাও একই দাবিতে তাঁদের মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন। আবার দলের একসময়ের সহ-সভাপতি প্রয়াত বারিক মাহাতোর ছেলে তথা জেলা সম্পাদক সমরজিত্‍ মাহাতোও এই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র পেশের অতিরিক্ত দিনে এই তিন জন নেতা তাদের মনোনয়নপত্র পেশ করেন। তাঁদের মতানুসারে দল বহিরাগতকে প্রার্থী করায় স্থানীয় নেতৃত্ব মেনে নিচ্ছে না। তাই তাঁরা প্রার্থী হলেন। অবশ্য এই প্রসঙ্গে দলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বললেন, ”কোথাও কোন গোঁজ প্রার্থী আমরা বরদাস্ত করব না। দলের ব্লক সভাপতিদেরকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি দলীয় প্রার্থী বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ হলধর মাহাতো বললেন,”দল আমাকে প্রার্থী করেছে। আমি দলের নির্দেশ মেনে লড়াই করব। যারা ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব আওড়াচ্ছে তারা এই বিষয়টি দলকে কেন বলছে না? এখানে কোন তত্ত্বই কাজ করবে না। আমি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী। তাঁর উন্নয়নই আমার পাথেয়।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!