এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভোটের আগেই চাপে দুই হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী? সায়ন্তন বসুর ভাগ্য কলকাতায় ও বাবুল সুপ্রিয়র ভাগ্য দিল্লিতে ঝুলে

ভোটের আগেই চাপে দুই হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী? সায়ন্তন বসুর ভাগ্য কলকাতায় ও বাবুল সুপ্রিয়র ভাগ্য দিল্লিতে ঝুলে


শাসকদলের করা অভিযোগের ভিত্তিতে আপাতত কিছুটা যেন অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপির দুই হেভিওয়েট প্রার্থী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিদায়ী সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র অস্বস্তি বাড়িয়েছে তাঁর গাওয়া ‘থিম সং’, অন্যদিকে বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তথা বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর অস্বস্তি বাড়িয়েছে – ‘গণতন্ত্র বাঁচাতে’ স্থানীয় দুষ্কৃতীদের কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে গুলি করিয়ে দেওয়ার নিদানে। এই দুই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।

বাবুল সুপ্রিয় নিজের উদ্যোগেই আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে একটি ‘থিম সং’ রেকর্ড করেন, নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেওয়ার আগেই যা ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। শাসকদলের অভিযোগ সেই গানে নাকি বেশ কিছু শব্দের ব্যবহার বিতর্কিত – যা নাকি সরাসরি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মানহানি করছে। এদিকে বিজেপির তরফে সেই গানের অনুমতির জন্য ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনও সেই গানের কিছু কথাটা আপত্তি জানিয়ে, তা বদল করে পুনরায় আবেদনের জন্য জানিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই গান নির্বাচন কমিশনের অনুমতি পাওয়ার আগেই তিনি নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই আপলোড করে দেন। যা নিয়ে, বাবুল সুপ্রিয়র জবাব ছিল, তিনি নাকি ‘সরকারিভাবে’ সেই গান প্রচার করেননি, গান রেকর্ডের পরে ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষের ‘ফিডব্যাক’ নেওয়ার জন্য তাঁদের সঙ্গেই শেয়ার করেন। সেখান থেকেই নাকি তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এই নিয়ে বাবুল সুপ্রিয়র উত্তর পর্যালোচনার পর দিল্লি পাঠিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। এরপর দিল্লি এবার এবিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।

তবে, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর বক্তব্য প্রসঙ্গে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকেরা। সায়ন্তনবাবুর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই বসিরহাট থানার পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে বলে জানা গেছে। আর তাই, এর পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর ২৪ পরগনার নির্বাচনী আধিকারিক বা জেলাশাসকের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। যদিও সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট এখনও জমা পরে নি, ফলে এই নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ আপাতত আটকেই রয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে, এই নিয়ে রিপোর্ট পেলেই তা বাবুল সুপ্রিয়র ঘটনার মতোই দিল্লিতে আবারো পাঠিয়ে দেওয়া হবে, সেখানেই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!