এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুকুলের প্রত্যাবর্তনে কি খুশি নয় অনুব্রত, মন্তব্য ঘিরে শুরু জল্পনা

মুকুলের প্রত্যাবর্তনে কি খুশি নয় অনুব্রত, মন্তব্য ঘিরে শুরু জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির সঙ্গে প্রায় চার বছরের সম্পর্ক ত্যাগ করে, দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ ছেড়ে দিয়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করলেন মুকুল রায়। যাকে বাংলার রাজনীতির চাণক্য বলা হয়ে থাকে। গতকাল তৃণমূল ভবনে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে দলে স্বাগত জানালেন। তবে, মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে বিশেষ টিপ্পনী কাটলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি জানান, গরু দড়ি ছিঁড়ে পালালেও আবার গোয়ালে ফিরে আসে।

গতকাল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানালেন যে, অনেকসময় রাত্রিবেলায় গরু দড়ি ছিঁড়ে পালিয়ে যায়, কিন্তু সকাল হলেই আবার ফিরে আসে। গোয়ালের গরু দড়ি ছিঁড়ে চলে গিয়েছিল, আবার তাকে এনে খুঁটিতে বাঁধা হয়েছে। মুকুলের প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাই হবে। দলের সুপ্রিমো যা বলবেন, সেটাই করা হবে। দল যদি মনে করে যে, মুকুল রায়কে নেয়া হবে, তাহলে দল তাঁকে নেবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার মুকুল রায়কে রাজ্য রাজনীতির চাণক্য বলা হয়ে থাকে। এ প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল জানালেন, মুকুল রায়কে সবাই চাণক্য বলে থাকেন। কিন্তু তিনি তো একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলে ছিলেন না। কিন্তু তারপরও তৃণমূল জয়লাভ করেছে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আসল চাণক্য। তিনি যা চাইবেন তাই হবে। অন্যদিকে, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, মুকুল রায় কখনোই তৃণমূলের সঙ্গে গদ্দারি করেননি। মুকুল রায় নির্বাচনের আগে ছেড়ে যাননি। নির্বাচনে তৃণমূলকে নিয়ে কটুক্তি করেননি।

তিনি বহু আগে তৃণমূল ছেড়ে গিয়েছিলেন। তবে নির্বাচনের আগে যারা অর্থ ও ক্ষমতার লোভে তৃণমূল ছেড়ে চলে গিয়েছিল, সেই সমস্ত গদ্দারদের দলে নেওয়া হবে না। মুকুল রায়ের সঙ্গে যারা দল ছেড়েছিলেন, তাঁদের বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হবে। আবার, আজ কারও নাম না করেই এক টুইট করেছেন খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। যে টুইটে তিনি লিখেছেন যে, এবার ধান্দাবাজির রাজনীতি বন্ধ করা হোক। পশ্চিমবঙ্গে যে নোংরা রাজনীতির খেলা শুরু হয়েছে, তাতে রাজনৈতিক নেতাদের ওপর মানুষের আস্থা উঠে যাবে। আয়া রাম গয়া রাম কখনোই পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!