এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তামাং শিবিরকে চাপে ফেললেও, বিশ্বস্ত সঙ্গী কি হাতছাড়া গুরুংয়ের? শৈলশহরে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ!

তামাং শিবিরকে চাপে ফেললেও, বিশ্বস্ত সঙ্গী কি হাতছাড়া গুরুংয়ের? শৈলশহরে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  প্রায় প্রতিটি সময়েই বিমল গুরুংয়ের ছায়াসঙ্গী হিসেবেই দেখা গেছে রোশন গিরিকে। কিন্তু এবার পাহাড়ের মাটিতে যখন আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিতে চাইছেন বিমল গুরুং এবং তার অনুগামীরা, ঠিক তখনই বেসুরো হতে শুরু করলেন রোশন গিরি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আর বিজেপির সঙ্গে নেই বিমল গুরুং। এখন রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। কিন্তু পাহাড়ের মাটিতে দীর্ঘদিন না থাকার কারণে শৈল শহরের আধিপত্য নিজের হাতেই রেখেছেন মোর্চার বিনয় তামাং।

তবে বিনয় তামাংকে চাপে ফেলে মোর্চার দায়িত্ব নিজের হাতে নিতে এবং পাহাড়ের মাটিতে আধিপত্য বিস্তার করতে কাজ শুরু করে দিয়েছেন বিমল গুরুং এবং তার অনুগামীরা। যার ফলে মোর্চার দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব আগামী দিনে কোন পর্যায়ে যায়, তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয়। কিন্তু তার মাঝেই বিমল গুরুংয়ের অন্যতম বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে পরিচিত রোশন গিরির বক্তব্যের মধ্যে থেকে উঠে এল অন্য বিষয়। যেখানে রাজ্য এবং কেন্দ্র, দুই সরকারকেই কটাক্ষ করতে দেখা গেল তাকে। আর এখানেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে তাহলে কি বিমল গুরুংয়ের কাছ থেকে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছেন রোশন গিরি?

সূত্রের খবর, এদিন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বিবৃতি দেন রোশন গিরি। যেখানে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গঠনের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করা উচিত। যদি পৃথক রাজ্য করা সম্ভব নাও হয়, তাহলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হোক। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেরিয়ে তরাই এবং ডুয়ার্সের জন্য পৃথক ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে। এটি স্থানীয় এবং সময়োপযোগী দাবি। পাহাড়ের পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি অনেক পুরনো। পাহাড় নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হোক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার এই বিষয়ে আলোচনাই করতে চাইছে না। আসলে পাহাড়ের সমস্যা কেউ বুঝতে চাইছে না। বিজেপি বারবার মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ করেনি। পৃথক গোর্খাল্যান্ড না হলে পাহাড়কে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করা হোক। আর এখানে তরাই, ডুয়ার্সকে ঢোকানো হোক।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসময় বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বাধীন মোর্চার। তারপর রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাদের সংঘাত বারবার লক্ষ্য করা গিয়েছে‌। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়।

পরবর্তীতে বিমল গুরুং এবং তার শিবিরকে চাপে রাখতে মোর্চার বিনয় তামাংকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে বেশ কিছুদিন আগে আবার বিমল গুরুং সক্রিয় হয়েছেন পাহাড়ে। বর্তমানে মোর্চার দুই গোষ্ঠীই রাজ্য সরকারের ঘনিষ্ঠ। সেদিক থেকে বিনয় তামাংয়ের গোষ্ঠীকে চাপে ফেলতে প্রতিমুহূর্তে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিমল গুরুংয়ের গোষ্ঠী। আর এরমাঝেই বিমল গুরুংয়ের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বলে পরিচিত রোশন গিরির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় উভয়ের বিরুদ্ধে বিষোদগার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে। এক সময় এই গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে আন্দোলন করার জন্যই রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল মোর্চার বিমল গুরুং শিবিরের। তারপর তারা কার্যত কোণঠাসা হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আবার সুর নরম করে বিমল গুরুংয়ের গোষ্ঠী পাহাড়ের মাটিতে আধিপত্য স্থাপন করতে চাইছে‌। কিন্তু তারমাঝেই গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে যেভাবে কটাক্ষ করলেন রোশন গিরি, তাতে তার সঙ্গে কি বিমল গুরুংয়ের সম্পর্কের ফাটল ধরেছে! এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে একাংশের কাছে। তাহলে কি আগামী দিনে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গ ত্যাগ করে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন রোশন গিরি? চাপে পড়ে যাবেন বিমল গুরুং? এখন এই সমস্ত প্রশ্ন ঘিরেই নতুন সমীকরণের জল্পনা তৈরি হয়েছে শৈলশহর জুড়ে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!