এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার কি এক ব্যক্তি এক পদের গেরোয় পড়তে চলেছেন ফিরহাদ, জল্পনা বাড়ছে রাজ্যের মন্ত্রীর বক্তব্যে

এবার কি এক ব্যক্তি এক পদের গেরোয় পড়তে চলেছেন ফিরহাদ, জল্পনা বাড়ছে রাজ্যের মন্ত্রীর বক্তব্যে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই যে ক’টি বিশেষ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে, তার মধ্যে একটি হলো এক ব্যক্তি এক পদ নীতি। এই নীতি কার্যকর হলে তৃণমূলের বহু নেতাকে একাধিক পদ ছেড়ে দিতে হবে। এই নীতি কার্যকর হলে একাধিক পদ হারাতে হতে পারে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। কারণ একাধারে তিনি রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী, কলকাতা পুরসভার প্রশাসক, হিডকোর চেয়ারম্যান ও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, সম্ভবত তাঁকে যেকোনো একটি পদ ছেড়ে দিতে হবে। কারণ, একজনকে এক পদ দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে দল। সকলকে ভাল করে পুরসভা চালাবার অনুরোধ করেছেন তিনি। তিনি একদিকে যেমন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী, অন্যদিকে মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুর প্রশাসকও তিনি। অনেকে বলছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সুনজরে রয়েছেন তিনি। একারণেই তিনি পুর প্রশাসক থেকে সরাসরি খাদ্যমন্ত্রী হতে পেরেছেন। এবার, তাঁকে যদি পুর প্রশাসক পদ ছেড়ে দিতে হয়, তবে ফিরহাদ হাকিমকেও কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদ ছাড়তে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার, তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের একাংশ মনে করছেন ফিরহাদ হাকিমের ওপর অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। এছাড়া কলকাতার পুর ব্যবস্থা নিয়েও একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে বিভিন্ন মহলকে। আম্ফানের পর যেমন নানা সমালোচনা উঠেছিল, তেমনি সম্প্রতি শহরে বর্ষার জল জমা নিয়েও উঠেছে নানা সমালোচনা। সম্প্রতি আজমীর শরীফ গিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, পুষ্কর যাবারও সম্ভাবনা আছে তাঁর।

অন্যদিকে, এক ব্যক্তি এক পদ নীতি চালু হলে রাজ্যের আরো একজন মন্ত্রী তাঁর পদ হারাতে পারেন। রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক সভাপতির পদে রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি চালু হলে এই পদ ছেড়ে দিতে হতে পারে তাঁকে। এই নীতি চালু হলে রাজ্যের বহু নেতার পদ হারাবার সম্ভাবনা আছে। তবে, এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন যে, দলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো নির্দেশ আসে নি। তিনি শুধু বলেছেন যে, দল এই নীতি চালু করেছে। কিন্তু একথা নিয়ে বেশ কিছু জায়গায় ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। কেউ কেউ রটিয়ে দিচ্ছেন যে, তিনি নাকি মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!