এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > মহেশতলা উপনির্বাচন – তৃণমূল না বিজেপি না বাম-কংগ্রেস জোট? বাজিমাত করবে কে?

মহেশতলা উপনির্বাচন – তৃণমূল না বিজেপি না বাম-কংগ্রেস জোট? বাজিমাত করবে কে?


রাত পোহালেই মহেশতলা উপনির্বাচন – রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে বিধায়ক কস্তুরী দাসের অকালপ্রয়ানে মহেশতলা বিধানসভাতে উপনির্বাচন। যথারীতি আবারো ‘পরিবারতন্ত্রের’ উপর আস্থা রেখে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে প্রয়াত কস্তুরীদেবীর স্বামী তথা মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাসকে। অন্যদিকে, মহেশতলাতে নাকি জয়ের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি, আর তাই রাজ্যের পাঠানো নামের তালিকা সরিয়ে রেখে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্ব প্রার্থী করেছে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা সুজিত ঘোষকে। তার থেকেও বড় কথা, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম রাজ্যে আবার বামফ্রন্ট-কংগ্রেস মহাজোট। সব হিসেবে উল্টে দিতে বামেদের প্রার্থী একেবারে নতুন মুখ প্রভাত চৌধুরী, আর কংগ্রেস কোনো প্রার্থী না দিয়ে বামফ্রন্টকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে। সব মিলিয়ে জমজমাট মহেশতলা।

কিছুদিন আগেই রাজ্যজুড়ে হয়ে গেল পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে সম্মিলিত বিরোধীরা বারেবারে আওয়াজ তুলেছে শাসকদলের ‘লাগামহীন সন্ত্রাসের’, যদিও শাসকদল সেই সব দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। কিন্তু মহেশতলা নির্বাচনের আগে তাৎপর্যপূর্ণভাবে শাসকদলের প্রার্থী দুলালবাবু জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি মানুষের আশীর্বাদে ও সমর্থনে জিততে চান। ফলে মহেশতলা উপনির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট করাটাই তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে, গেরুয়া শিবির বেশ আশাবাদী মহেশতলা নিয়ে। মুকুল রায় থেকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় – মহেশতলার প্রচারে এসে সব দাপুটে নেতাই যেমন একদিকে সাধারণ মানুষকে পঞ্চায়েতের ‘সন্ত্রাস’ মনে করিয়ে দিয়েছেন, অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন থেকে কেন্দ্রীয়বাহিনী সব ব্যাপারেই চাপের খেলা শুরু করেছেন। এসবের পিছনে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে বামফ্রন্ট, কিন্তু নবীন মুখের হাত ধরে খেলা ঘুরিয়ে দিতে সমর্থ হবেন বলেই আশা রাখছেন তাঁরা। আর মহেশতলাতে বামফ্রন্টকে সমর্থন করে নিজেরা প্রার্থী না দেওয়াতে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না কংগ্রেসকে। সব মিলিয়ে টানটান উত্তেজনা মহেশতলা উপনির্বাচন ঘিরে। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি নাকি বামফ্রন্ট-কংগ্রেস জোট – শেষ হাসি হাসবে কে? উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ৩১ তারিখ ইভিএম খুললে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!