“একটা কথা বলি ,দল ছেড়ে দিলে ও হারিয়ে যাবে ” মন্তব্য হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা দুলাল দাসের। সামনেই মহেশতলা উপনির্বাচনে আর সেখানেও বিরোধী শুন্য করে বিপুল ভোটে জিততে মরিয়া শাসকদল। আর তাই প্রচার চলছে পুরোদমে। কিন্তু গত বিধানসভা ভোটে কস্তুরী দাসের জেতার অন্যতম কারিগর ও মেয়র এবারে অনুপস্থিত। যা দলের একাংশের মতে স্বাভাবিক। কেননা যতই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি হন না কেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আসলে তো তিনি মহেশতলা বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী দুলাল দাসের জামাই। রত্না দেবীর মা কস্তুরী দাসের মৃত্যুর পর মহেশতলা কেন্দ্র তে ফের অকালে নির্বাচনের প্রয়োজন হয়ে পরে। আর দলের তরফ থেকে তাঁর স্বামী ও মেয়রের শ্বশুর মশাই দুলালবাবুকে প্রার্থী করা হয়। ডিভোর্সের কেস চললেও কাগজে-কলমে তাঁরা এখনও সম্পর্কে জামাই-শ্বশুর।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

আর এই নিয়েই এদিন একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন স্বশুর দুলালবাবু।বললেন, ”কোথায় কী আছে জানি না, তবে মহেশতলায় ওর কোনও কাজ নেই। আমার মনে এবং কর্মীদের মধ্যে ওর অনুপস্থিতির কোনও প্রভাব নেই।” পাশাপাশি জাজান যে মেয়র না আসায় কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ, ”ও যা করেছে তার মূল্য ওকেই চোকাতে হবে। মহেশতলার মানুষ ওকে নিয়ে ভাবছেই না। ওর অনুপস্থিতিতে কোনও শূন্যতা নেই। এখানে ফিরহাদ হাকিম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছেন। অরূপ বিশ্বাস আসবেন।”এদিকে কানাঘুসো শোনা যাচ্ছে যে মেয়র নাকি খুব বিরক্ত দলের ওপরেও কারণ তাঁর অভিযোগ দল এর কয়েকজন রত্না দেবীকে সঙ্গ দিচ্ছেন ও মেয়রকে হেনস্থা করার ব্যাপারে। তাই তিনি নাকি দল ছেড়েও দিতে পারেন। এই নিয়েই দুলালবাবু করলেন বিস্ফোরক মন্তব্য। তিনি বললেন, ”দল ছেড়ে দিলে ও (শোভন) হারিয়ে যাবে।”এই নিয়ে যদি মুখ খুলতে নারাজ শোভনবাবু । তিনি জানান, ”আমি কোনও মন্তব্য করব না।” প্রসঙ্গত, দুলালবাবুর দাবি যে কস্তুরী দেবীর মৃত্যুর জন্য পরোক্ষভাবে দায়ী শোভনবাবু ,কেননা মেয়র নাকি তাঁর গোলপার্কের ফ্ল্যাটে কস্তুরীদেবীকে ঢুকতে না দিয়ে অপমান করেছিলেন। অপমানিত কস্তুরীদেবী বাড়ি ফিরে কেঁদে ফেলেছিলেন আর তার কিছুদিনের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়।যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছিলেন শোভনবাবু।